চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসতে ৬০ শতাংশ উপস্থিতি সহ জরিমানার নামে বিভিন্ন ফি আদায়ের প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তিন দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলন করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। তবে নারী শিক্ষার্থীদের হলগুলোতে আটকে রেখে আন্দোলনে অংশ নিতে দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, হঠাৎ করেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছে যদি কোন শিক্ষার্থী ৮০ শতাংশ- এর নিচে ক্লাসে উপস্থিত থাকে তাহলে তাকে জড়িমানা দিয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসতে হবে। এরমধ্যে ৭০-৭৯ শতাংশ উপস্থিতির জন্য দুই হাজার টাকা এবং ৬০-৬৯ শতাংশ উপস্থিতির জন্য পাচ হাজার জরিমানা ধার্য্য করা হয়েছে।
জরিমানার এই বিষয়কে অযৌক্তিক উল্লেখ করে বিষয়টি সুরাহা করার জন্য তারা শিক্ষকদের সাথে কথা বলতে চায়। কিন্তু শিক্ষকরা কোন কথা বলেনি। তাই শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছে।
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছেন, সকালে আন্দোলন শুরু করার পর নানাভাবে আন্দোলন প্রতিহত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে প্রশাসন। মেয়েদের হলগুলো তালাবদ্ধ করে রেখেছে। তাদের উদ্ধার করতে গেলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে প্রশাসন।
প্রশাসনের ’স্বৈরাচারী আচরণের’ কিছু উদাহরণ দেখিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হয়েও এখন পর্যন্ত কোর্স ক্রেডিট সিষ্টেমে বছরে তিনটি টার্ম শেষ করে। প্রতি টার্ম শুরুর ১৭ দিনের মাথায় ১ম মিড, ১ম মিড শেষ হবার ১৫ দিনের মাথায় ২য় মিড, আবার ২য় মিড শেষ হবার ২৭ দিনের মাথায় ফাইনাল পরীক্ষায় বসতে হয় শিক্ষার্থীদের। এই মিডের মধ্যেও শিক্ষার্থীদের ক্লাস, ল্যাব ক্লাস, কুইজ পরীক্ষা যথারীতি চলতে থাকে। পাশাপাশি ৮০% ক্লাসে উপস্থিত না থাকলে চুড়ান্ত পরীক্ষায় বসতে দেয়া হয় না।
শিক্ষার্থীরা জানান, চার বছরে ২৪০ ক্রেডিট পড়ার কথা অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চিন্তাই করতে পারেন না। সেখানে স্নাতক পর্যায়ে চারটি অনুষদের মধ্যে কৃষি ও কৃষি অর্থনীতি অনুষদে চার বছরে ২৪০, ফিশারিজ অনুষদ ২৩০ এবং ভেটেরিনারি অনুষদ পাঁচ বছরে ২৮৩ ক্রেডিট পড়ানো হয়।
তাদের অভিযোগ, বছরে তিনটি টার্মের (প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির মত) শুরুতে প্রতি স্টুডেন্টের কাছে ফি বাবদ প্রায় ১২ হাজার টাকা নেয় প্রশাসন।
Leave a reply