আফগানিস্তানে নিয়োজিত মার্কিন সেনাদেরকে তাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এটা শেখাতেন যে, আফগান শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনকে অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় না, বরং দেশটিতে এটি ‘ঐতিহ্যগতভাবে একটি গ্রহণযোগ্য অনুশীলন।’
পৃথিবীর অন্যান্য সব জায়গার মতো আফগানিস্তানেও শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের এমন ঘটনাকে মানবাধিকারের লংঘনের দৃষ্টিতে দেখতে ২০১৫ সালের আগ পর্যন্ত পেন্টাগনের পক্ষ থেকে সেনাদেরকে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি।
পেন্টাগনের ইন্সপেক্টর জেনারেলের তৈরি এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠ এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে বেশ কিছু গণমাধ্যম আফগান শিশুদের যৌন নিপীড়নের ওপর প্রামাণ্য সংবাদ প্রকাশের আগ পর্যন্ত মার্কিন সেনাদেরকে এসব ঘটনা উপেক্ষা করতে বলা হত।
আফগানিস্তান থেকে ফিরে যাওয়া বেশ কয়েকজন মার্কিন সেনা সদস্যের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তৈরি প্রতিবেদনে বলা হয়, সৈন্যরা জানিয়েছেন তাদের সামনে ঘটে যাওয়া শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়নের ঘটনার ব্যপারে উচ্চতর কমান্ড থেকে বলা হতো, আফগানিস্তান সার্বভৌম দেশ এবং এই ধরনের অনুশীলন এই দেশে স্বাভাবিক। তাই মার্কিন সৈন্যদের এ বিষয়ে কিছু করার নেই।
এছাড়া এসব বিষয় দেখা সৈন্যদের কাজ না- এমনটাও বলা হতো। একজন সৈন্য জানান, তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাকে বলেছিলেন, ‘এসব নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর কিছু নাই। এটা আফগানিস্তান।’
রিপোর্টে আফগান সরকারি কর্মকর্তা বা সৈন্যদের দ্বারা শিশু নিপীড়নের কথা উঠে এলেও মার্কিন সৈন্যরা নিপীড়নের ঘটনায় জড়িত ছিল কিনা তার বিবরণ নেই।
Leave a reply