রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন তিন ব্যক্তি। তাদের মধ্যে একজন নারী এবং অন্য দুজন পুরুষ। হঠাৎ করে কয়েকজন যুবকের একটি দল তাদেরকে থামালো। যুবকদের সন্দেহ, ওই তিনজন গরুর মাংস বহন করছেন। তাদেরকে তল্লাশি করে কিছু মাংস পাওয়া গেল।
তবে বহনকারীদের দাবি সেগুলো গরুর মাংস নয়। কিন্তু যুবকরা তা মানতে রাজি নয়। তারা হামলে পড়লো নারী ও পুরুষ তিনজনের ওপর। গাছের সাথে আটকিয়ে তাদেরকে লাঠিপেটা করা হলো। একই সাথে তাদেরকে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতেও বাধ্য করা হয়।
ঘটনাটি গত ২২ মে ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে। তবে দুই দিন পর ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে ঘটনা জানাজানি হয়। পরে পুলিশ এসে মাংস বহনকারী তিনজনকে আটক করে।
তাদের সাথে থাকা মাংসগুলো গরুর কিনা তা জানতে ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মাংস বহনকারী নারী ও একজন পুরুষ মুসলমান, এবং অন্যজন হিন্দু। হামলার ঘটনায় শনিবার ৫ যুবককেও আটক করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বুমলাইভ জানিয়েছে, হামলাকারীরা শ্রীরাম সেনা নামক উগ্রপন্থী হিন্দু সংগঠনের সদস্য। কয়েকজনের ছবিও প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যমটি।
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গরু জবাই ও মাংস বেচাকেনা ও বহন করা বেআইনি ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। মধ্যপ্রদেশেও এসব নিষিদ্ধ।
Leave a reply