টানা কয়েক দিনের তীব্র গরমের পর বৃষ্টির সঙ্গে শুরু হয় মেঘের গর্জন। টানা কয়েক ঘণ্টার মুষলধারে বৃষ্টি নামায় কিছু সময়ের জন্য পানির নিচে তলিয়ে গেছে হাটহাজারী উপজেলার অধিকাংশ রাস্তা, মাঠঘাট ও খালবিল।
এ সময় মাছ ধরার নেশা পেয়ে বসে স্থানীয়দের মধ্যে। তারা হাত জাল ও পলো নিয়ে নেমে পড়েন খালবিলে মাছ শিকারে।
শনিবার সকালে শখের বসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ১নং রেলগেট এলাকার ফতেপুর ইউনিয়নের বখতিয়ার ফকিরসংলগ্ন বিলে মাছ ধরতে নামেন মো. কামাল উদ্দিন। হঠাৎ তার পলোতে ধরা পড়ে একটি বিশাল বোয়াল।
মো. কামাল উপজেলার সহয্যাপাড়া এলাকার বাসিন্দা ফয়েজ আহম্মদের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, তীব্র গরমের পর হঠাৎ বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। শনিবার বৃষ্টি থামার পরই এলাকাবাসী মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে পাশে জমে থাকা হাঁটু-কোমর সমান পানিতে মাছ শিকারে নামেন।
ফতেপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা কামাল উদ্দিন জানান, শখের বসে পলো নিয়ে মাছ ধরতে হাওরে যান তিনি। তার পলোতে একটি বিশাল বোয়াল আটকা পড়ে। ২০ কেজি ওজনের মাছটি বাড়িতে আনার পর আশপাশের লোকজন দেখতে ভিড় করেন। পরে মাছটি কেটে নিজেসহ আত্মীয়স্বজন সবাই মিলে ভাগ করে নেন।
হাটহাজারী উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজহারুল আলম জানান, বর্তমান সময়টা মাছের প্রজনন মৌসুম। বৃষ্টি বা বজ্রপাত হলে মা মাছগুলো ডিম ছাড়ার জন্য খালবিলে স্রোতের বিপরীতে যেতে থাকে। এ সময় মাছগুলো আশপাশের ছোট খালবিলে আশ্রয় নেয়। আর এতেই মাছ ধরার সুযোগ বেড়ে যায়।
Leave a reply