ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে বিভিন্ন একাউন্টের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো অনুরোধের সংখ্যা বেড়েছে। সর্বশেষ ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে মোট ১৯৫টি একাউন্টের তথ্য জানতে চেয়ে সামাজিক মাধ্যমটির কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
গত বৃহস্পতিবার নিজেদের নিয়মিত ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট প্রকাশ করে ফেসবুক। তাতে বিভিন্ন দেশের সরকারের তথ্য চাওয়ার চিত্র তুলে ধরা হয়। প্রতি ছয় মাস পরপর এই রিপোর্ট প্রকাশ করে ফেসবুক।
গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে ১৪৯টি অনুরোধে ১৯৫টি একাউন্ট সম্পর্কে নানা তথ্য জানতে চায় বাংলাদেশ সরকার। এর মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ায় ১৯টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয় আর ১৩০টি অনুরোধ জরুরি ভিত্তিতে করা হয়। ফেসবুক ৪৪ শতাংশ ক্ষেত্রে তথ্য সরবরাহ করেছে।
তবে কী জানতে চাওয়া হয়েছিল বা সেই একাউন্টগুলো সম্পর্কে কী ধরনের তথ্য ফেসবুকের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা হয়েছে তা রিপোর্টে বলা হয়নি।
২০১৮ সালের প্রথম ছয় মাসে সরকারের অনুরোধ ছিল ১৫২টি। তার আগে ২০১৭ সালের শেষের ছয় মাসে বাংলাদেশ সরকার অনুরোধ করেছিল ৬০টি এবং ওই বছরের প্রথম ছয় মাসে একই ধরনের ৪৪টি অনুরোধ ফেসবুকের কাছে গিয়েছিলো।
ফেসবুকের ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবহারকারীর তথ্য চেয়ে করা অনুরোধে সাড়া দেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তথ্য নিয়ে ওই বছরের ২৮ এপ্রিল ফেসবুক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। এরপর থেকে প্রতি ছয় মাস পরপর ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
ফেসবুক জানিয়েছে, ২০১৮ এর জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ৯টি দেশে মোট ৫৬ বার ফেসবুক বন্ধ করার ঘটনা ঘটেছে। প্রথম ছয় মাসে ৮টি দেশে ৪৮ বার ইন্টারনেট বন্ধের ঘটনা ঘটেছিল। বাংলাদেশে জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ২২ ঘণ্টা ফেসবুক বন্ধ করা হয়েছিল।
Leave a reply