ভারতের গুরুগ্রামে নামাজ থেকে ফেরার পথে মুসলিম যুবককে মারধরের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিজেপির লোকসভা সদস্য ও সাবেক ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর। তবে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বিপাকে পড়েছেন। এ খবর দিয়েছে গালফ নিউজ।
গৌতম গম্ভীর এক টুইটে লিখেছেন, গুরুগ্রামে মুসলিম যুবকের টুপি অপসারণ, ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দেয়ার নির্দেশ বিরক্তিকর। এ ঘটনায় গুরুগ্রাম কর্তৃপক্ষের উচিত দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া। আমরা একটি ধর্মনিরপেক্ষ জাতি।
এ নিয়ে দিল্লির বিজেপির প্রধান মনজ তেওয়ারি বলেন, এ ধরনের ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। গৌতম গম্ভীরের সরল মন্তব্যকে বিজেপির বিরুদ্ধেও ব্যবহার করা হতে পারে। তবে ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।
এক বিজেপি সমর্থক টুইটারে বলেন, ‘হয় হিন্দু-মুসলমান সকলের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানান, নয় চুপ থাকুন।’
এর আগে গত শনিবার রাতে গুরুগ্রামে নামাজ থেকে ফেরার পথে ভারতে এক মুসলিম ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করা হয়।
মারধরের শিকার মোহাম্মদ বরকত নামের ওই ব্যক্তি জানান, নামাজ শেষে মাথায় টুপি পড়ে ফিরছিলেন, পথিমধ্যে একদল অজ্ঞাত ব্যক্তি তার পথরোধ করে। এরমধ্যে একজন অকথ্য ভাষায় ডাক দিয়ে বলে এই এলাকায় টুপি পড়া নিষেধ।
বরকত বলেন, আমি নামাজ থেকে ফেরার কথা বললে ওই ব্যক্তি আমায় মারধর করে এবং আমায় ‘ভারত মাতা কি জয়’ এবং ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে জোর করে। তাতে আমি রাজি না হলে আমায় শূকরের মাংস খাওয়ানোর হুমকি দেয়।
এরপর বরকত সেখান থেকে পালাতে চেষ্টা করলে ওই ব্যক্তি তার জামা ছিড়ে নেয়। এক পর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পড়লে ওই ব্যক্তিরা চলে যায়।
এর আগে ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গোরক্ষকদের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক নারীসহ তিন মুসলিম। শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের সিওনিতে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে।
ঘটনায় সূত্রপাত, একটি গরু নিয়ে অটোরিকশাযোগে সিওনি দিয়ে যাচ্ছিলেন এক নারীসহ তিন মুসলিম।
এই খবর কোনোভাবে গোরক্ষকদের কাছে পৌঁছে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তারা লাঠি, বাঁশ নিয়ে অটোরিকশাটিকে তাড়া করে। এরপর ওই অটোরিকশায় থাকা ওই তিন মুসলিমকে গাড়ি থেকে নামিয়ে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলে।
এরপর এক এক তাদের পেটাতে থাকে। পরে মাটিতে ফেলেও প্রচণ্ড মারধর করা হয় তাদের। এরপর ওই মুসলিমদেরই একজনকে দিয়ে সঙ্গে থাকা নারীকে স্যান্ডেল দিয়ে পেটানো হয়।
Leave a reply