সৌদি আরবের মক্কায় আয়োজিত ৫৭ সদস্য রাষ্ট্রের সংগঠন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের (ওআইসি) শীর্ষ ইসলামি সম্মেলনে অংশ নেননি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসপে তাইয়েপ এরদোগান ও কাতারের আমীর তামিম বিন হামাদ আল ছানী।
সম্মেলনে প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। আর কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ বিন নাসের আল ছানী যোগ দিয়েছেন।
গত বছরের ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে রাজপরিবারের সমালোচক ও নির্বাসিত সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার পর দুই দেশের মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়। ওই সময় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান জানান, সৌদি সরকারের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের নির্দেশে খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে।
এতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জড়িত বলে তিনি দাবি করেন। একই সঙ্গে হত্যাকারীদের বিচারের জন্য তুরস্কের হাতে তুলে দেয়ার দাবিও জানান তিনি। তবে সৌদি আরব খাশোগি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের হস্তান্তরের দাবি প্রত্যাখ্যান করে।
সৌদি আরব এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ওআইসির সম্মেলন আয়োজন করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরাহ বন্দরে সৌদি আরবের দুটি তেলবাহী ট্যাঙ্কার আক্রান্ত হওয়ার ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে রিয়াদ।
অন্যদিকে কাতারের বিরুদ্ধে সৌদি ও তার চার মিত্র মিলে অবরোধ আরোপ করার ২ বছর পূর্ণ হয়েছে। দেশ দুটির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ইতিহাসের সবচেয়ে তলানিতে আছে।
তুরস্কের সাথে কাতারের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতার। সৌদি অবরোধের পর সেনা সমর্থন দিয়ে কাতারের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলো আঙ্কারা।
Leave a reply