রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আসেম-এ চীনের ৩ দফা প্রস্তাব

|

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলোর জোট আসেম’র বৈঠকে ৩ দফা প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে চীন। রাখাইনে সহিংসতা বন্ধ করে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার পাশাপাশি দারিদ্রতা দূর করতে দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনার ওপর জোর দেবে দেশটি। এদিকে, সংকট সমাধানে মিয়ানমারকে আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে, সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে রোহিঙ্গা ইস্যুটি বক্তব্যে আনেননি মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি।

রাখাইনে রোহিঙ্গা সংকটের প্রায় ৩ মাস হতে চললেও মেলেনি কার্যকর সমাধান। নানা ফোরামে দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে, তথাপি, বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি।

স্বাভাবিক কারণেই আসেম সম্মেলনেও আগ্রহের মূলে রয়েছে রোহিঙ্গা ইস্যু। সম্মেলন শুরুর আগে অং সান সু চি’র সাথে বৈঠকে ৩ দফা প্রস্তাব পেশের ঘোষণা দেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। বলেন, বাংলাদেশ মিয়ানমারের বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমেই সংকটের সমাধান আসতে পারে। এক্ষেত্রে প্রথমেই সংঘাত বন্ধ করে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তৎপর হতে হবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে চুক্তিতে পৌঁছাতে। পাশাপাশি, দারিদ্রতা দূর করতে দীর্য়মেয়াদী  পন্থা বের করা দরকার।

সম্মেলন শুরুর আগে মিয়ানমারকে আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছে ইইউ। আর এই ইস্যুতে সব ধরনের সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দেন জোটের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মোঘেরিনি। বলেন, সকালে, মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি এবং বেশ কিছু দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের রাখাইন ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছে। সংকট সমাধানে আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের তাগিদ দেয়া হয়।এক্ষেত্রে সু চি’র ভুমিকাও প্রশংসনীয়। আশা করবো রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে শিগগিরই বাংলাদেশ ও মিয়ানমার কোনো চুক্তিতে পৌছাতে সক্ষম হবে। আর এ ব্যাপারে সর্বাত্মক সহায়তা করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হলেও, আসেম বৈঠকের উদ্বোধনী ভাষণে, অং সান সু চি বিষয়টি আনেননি।

উল্লেখ্য, এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যকার সম্পর্ক জোরালো করতে ১৯৯৬ সালে ফোরাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় আসেম।

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply