বদলির আদেশে স্বাক্ষর করা সেই উপসচিবের ব্যাখ্যা

|

ক্রেতা ঠকানোর অভিযোগে আড়ং’য়ে অভিযান চালানো ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বদলি আদেশে উপসচিব মোহাম্মাদ আবদুল লতিফের সাক্ষর থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে তার সমালোচনা করা হয়। অনেকেই তার সমালোচনা করে অশালীন ভাষা ব্যবহার করে।

উপসচিব আবদুল লতিফকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে সমালোচনার জবাব তিনি তার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যেমে দেন। পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।–

সম্মানিত সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীগণ। কোন প্রকার দোষ না করে আপনাদের অনেক গালিগালাজ শুনেছি। চাইলে আরো গালিগালাজ করতে পারেন। তার আগে দয়া করে আত্ম্বপক্ষ সমর্থনে দেয়া আমার পোস্টটি একটু পডে দেখার জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি। উল্লিখিত কর্মকর্তার বদলির ফাইল ই-নথিতে (যারা এ সম্পর্কে জানেন না তাঁদের জন্য বলছি এটি ইলেক্ট্রনিক্যালি হয়, এতে ফাইল নিস্পত্তির প্রতিটি পর্যায়ের তারিখ, সময় উল্লেখ থাকে। সিস্টেম সব ঠিক করে দেয়, ম্যানুয়ালি পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই) উপস্থাপিত হয়েছে ২৯/০৫/২০১৯ তারিখ বিকাল ৩ টা ৩৬ মিনিট ০৪ সেকেন্ডে যা ৫ জন কর্মকর্তার ডেস্ক হয়ে সচিব মহোদয় কর্তৃক চুড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে ০৩/০৬/২০১৯ তারিখ সকাল ১০টা ২০ মিনিট ২৯ সেকেন্ডে। অনুমোদনের পর বদলির আদেশ জারি করা হয়েছে। আড়ং এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ঘটনাটি ঘটেছে দুপুর ১ টা থেকে যা মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি সন্ধ্যায়(অফিসিয়াল কাজ সম্পর্কে যারা জানেন তারা নিশ্চয় অবগত আছেন ফাইল অনুমোদনের পর সেকশন অফিসারকেই আদেশটি জারি করতে হয়, আমিও সেটিই করেছি)। ফাইলের অনুমোদন ও আদেশ জারি দুটিই আড়ং এর ঘটনা ঘটার/জানার আগেই। উক্ত আদেশের ক্ষেত্রে আমার বা জনপ্রশাসনের কোন স্বার্থ ছিলো না। তারপরও সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়ে এই আদেশটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাতিল করা হয়েছে। বদলির আদেশ ও বাতিল সংক্রান্ত প্রমানাদি আপলোড করা হলো ।
আমার সততা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন। আমার ব্যাংক হিসাব চেক করতে বলেছেন। এ বিষয়ে আপনাদের সাদর আমন্ত্রণ জানানো হলো। আপনাদের অনুসন্ধান/তদন্তের সুবিধার্থে আমি যে কয়টি কর্মস্থলে কাজ করেছি তার তথ্য উল্লেখ করলামঃ ১। সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, রংপুর(২০০৫-২০০৮) ২। সহকারী কমিশনার(ভূমি), মাদারীপুর সদর (২০০৮-২০০৯)৩। সহকারী কমিশনার(ভূমি)(সিংগাইর, মানিকগঞ্জ)(২০০৯-২০১১) ৪। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কাশিয়ানী, গোপালগঞ্জ (২০১১-২০১৪ এর ফেব্রুয়ারি) ৫। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ধামরাই( ফেব্রুয়ারি/২০১৪- সেপ্টেম্বর/২০১৪) ৫। ২০১৫- ফেব্রুয়ারি/২০১৬(লন্ডনে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ) ৬। বিয়াম ফাউন্ডেশন, ঢাকা (মার্চ/২০১৬- আগস্ট/২০১৬) ৭। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, ময়মনসিংহ (আগস্ট/২০১৬- জুলাই/২০১৭) ৮। জুলাই/২০১৭ থেকে জনপ্রশাসনে কর্মরত আছি।
আপনারা অনুসন্ধান করে দেখুন প্লিজ। যদি প্রমান করতে পারেন আমি অবৈধভাবে কারো কাছ থেকে ২ (দুই) টাকা নিয়েছি কিংবা এক কাপ চা খেয়েছি তবে আমি কথা দিলাম সেদিন আমি চাকরি ছেড়ে দিবো। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিট বুয়েট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে প্রশাসন সার্ভিসে এসেছি জনগণের সেবা করতে আর আত্ম-সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে। শুধুমাত্র অনুমান নির্ভর হয়ে এমনভাবে ব্যক্তিগত আক্রমন করাটা কতটা যৌক্তিক হয়েছে সেই ভারও আপনাদের উপরই ছেড়ে দিলাম। আমার বেতন যেহেতু জনগণের করের টাকায় হয় তাই নিজেকে জনগণের কাছে ক্লিয়ার করার ক্ষুদ্র চেষ্টা করলাম।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply