বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি বাংলাদেশ। লন্ডনের বিখ্যাত ভেন্যু কেনিংটন ওভালে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ট্রেন্ট বোল্টদের মুখোমুখি হবে টাইগাররা।
আর সে ম্যাচ উপভোগ করতে ঈদের ঘোরাঘুরিকে বিসর্জন দিয়ে টিভির সামনে বসবে দেশবাসী।
প্রোটিয়াদের ২১ রানে হারিয়ে ফুরফুরে মেজাজে মাশরাফি বাহিনী। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কিউইদের মোকাবেলা করতে নামবেন তারা।
তাই প্রোটিয়াদের বিপক্ষে জেতা একাদশে কোনো পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা নেই বাংলাদেশের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে খেলতে নামবে টাইগাররা।
এদিকে দুর্দান্ত জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে নিউজিল্যান্ড। নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকাকে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে নিজেদের শক্তিমত্তার পরিচয় দিয়েছে কিউইরা।
শিরোপাপ্রত্যাশী এমন দলকে হারাতে বেশ ছক কেটে মাঠে নামতে হবে টাইগারদের। পারফর্ম করতে হবে সবারই।
তবে ক্রিকেটবোদ্ধাদের মতে আজ পঞ্চ পান্ডবের দুজনকে অবশ্যই জ্বলে উঠতে হবে। দেখাতে হবে তাদের শানিত ব্যাটের ধার।
এ দুই টাইগার হলেন – তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম।
ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মতে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এ দুই ব্যাটসম্যান থেকে ভালো পারফরম্যান্স পাওনা দেশবাসী।
বিষয়টি বুঝতে একটু ফিরতে হবে ইতিহাসে।
ইতিহাস ও পসিংখ্যান বলছে, ২০১৫ সালে নিউজিল্যান্ডের হ্যামিল্টনে ও ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যের কার্ডিফে বেশ ভালোভাবেই কিউই বোলারদের সামলেছিল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সে মিশনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সাকিবেরও আছে সেঞ্চুরি। চার বছর আগে সৌম্য সরকারও ফিফটি হাঁকিয়েছিলেন।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেই ম্যাচে কার্ডিফে রিয়াদ-সাকিব জোড়া শতক করলেও তামিম রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফেরেন। দ্বিতীয় বলেই টিম সাউদির বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি।
একই ম্যাচে মুশফিকও ফিকে থেকে যান। ৩৪ বলে ১৪ রান করে আউট হন তিনি।
সে ম্যাচে সাকিব ও রিয়াদের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ১১৪ ও ১০২ রানের ঝকঝকে দুটি ইনিংস।
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে হ্যামিল্টনেও তামিম ১৩ রান করে প্যাভিলিওনের পথ ধরেন। মুশফিকের অবস্থাও তেমনি। তামিম থেকে মাত্র ২ রান বেশি করে এন্ডারসনের বলে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
সে ম্যাচে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব তেমন কিছু করতে না পারলেও মাহমুদুল্লাহের ব্যাট থেকে আসে হার নামা ১২৮ রান। সে ম্যাচে সৌম্য সরকারের ৫১ রান করেন।
এসব পরিসংখ্যানের কথা মাথায় রেখেই এবার বাংলাদেশি ক্রিকেটভক্তরা চান ট্রেন্ট বোল্টদের এবার তুলোধুনো করার দায়িত্ব নিক তামিম ও মুশফিক।
নিজেদের প্রথম ম্যাচ থেকেই নিজের জাত চিনিয়েছেন বাংলাদেশ দলের মি. ডিপেন্ডেবল খ্যাত মুশফিক। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৮ চারের মারে ৮০ বলে ৭৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন তিনি।
তবে চোটে কিছুটা বিপর্যস্ত ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল প্রথম ম্যাচে ইনিংসকে বড় করতে না পারলেও আজ তার ব্যাটের দিকে চেয়ে আছে বাংলাদেশি সমর্থকরা।
Leave a reply