নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের বুদ্দিনগর এলাকায় নারী-পুরুষ দু’জনকে বেঁধে প্রকাশ্যে পিটুনির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২ জুন রোববার সকালে পরকিয়ার অভিযোগে জাফর নামে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসক অর্ধশত মানুষের সামনে তাদের মারধর করে। এ সময় পুরুষ শ্রমিকের মাথাও ন্যাড়া করে দেয়া হয়। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিওতে দেখা যায়, মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছের সাথে বেঁধে অভিযুক্ত পুরুষ ও নারী শ্রমিককে গ্রাম্য ডাক্তার জাফর একটি লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করতেছে। এভাবে দফায় দফায় তাদের দুইজনকে মারধর করা হয়। পল্লী চিকিৎসক জাফরের সঙ্গে থাকা জাহাঙ্গীর, ইয়ার আহাম্মদ, সেলিম, গিয়াস উদ্দিনসহ আরো কয়েকজনও তাদের মারধর করে। এক পর্যায়ে পুরুষটির মাথার চুল ফেলে ন্যাড়া করা হয়।
ভিডিওটি গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে পৌঁছার পর খবর নিয়ে জানা যায়, নির্যাতিত যুবক জেলা শহর মাইজদীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরে বুধবার সন্ধ্যায় বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তিনি নোয়াখালী সরকারি জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন। সেখানে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, ওই নারীর কাছে দুই হাজার টাকা পাবেন তিনি। টাকার জন্য সকালে গেলে স্থানীয় কিছু লোকজন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাকে ধরে নিয়ে যায়। স্থানীদের অপবাধ মিথ্যা বলে তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য ওই নারী ও তার মা অনুরোধ করলেও তারা ছেড়ে দেয়নি। উল্টো ওই নারীকেও নিয়ে গিয়ে মারধর করে। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুধারাম থানা পুলিশ জানান তারা এমন কোনো অভিযোগ পায়নি। তবে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছ থেকে জানার পর সন্ধ্যায় নির্যাতিতা নারী, অভিযুক্ত জাফর ডাক্তারের স্ত্রী ও তার মাকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে আনা হয়। তবে বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত থানায় এ নিয়ে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে জানান পুলিশ।
Leave a reply