হঠাৎ করেই নাটকীয় মোড় নিলো লেবাননের রাজনীতি। দেশে ফিরেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি। প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠকে দিয়েছেন সমঝোতার ইঙ্গিত। এতে, চলমান সংকট সমাধানের ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে উঠেছে লেবাননের মানুষ। নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে মঙ্গলবার রাতে, লেবাননে ফেরেন হারিরি। বুধবার, প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই যোগ দেন স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে।
পদত্যাগের ঘোষণা দিলেও কারণ কাগজে কলমে এখনও লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি। ক্যামেরার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুও যেন তিনিই। অভিযোগ ছিলো সৌদি আরবে গৃহবন্দি রয়েছেন তিনি, শঙ্কা ছিলো তার দেশে ফেরা নিয়েও। তবে সব গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে প্যারিস থেকে কায়রো হয়ে মঙ্গলবার রাতে দেশে ফেরেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরি’র ছেলে।
বিমানবন্দর থেকেই হারিরি সোজা চলে যান তার বাবার কবর জিয়ারত করতে। হারিরি’র প্রত্যাবর্তনে উচ্ছ্বসিত লেবাননের সাধারণ মানুষ। এদেরই একজন বললেন, এতোদিন নিজেদের মৃত মৃত মনে হচ্ছিলো। যেই না প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরেছেন মনে হচ্ছে প্রাণ ফিরে পেয়েছি। অপর অনুসারীর আশা প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়বেন না হারিরি। তবে, তার অনুসারীরা মানছেন সিদ্ধান্ত নেয়ার স্বাধীনতা রয়েছে তার। যাই হোক না কেনো মাথার ওপর ছায়া হয়েই রইবেন সাদ হারিরি।
স্বস্তি দেখা দিয়েছে প্রশাসনেও। দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইকেল অউন, আরব বিশ্বকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, লেবাননের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক না গলাতে। সৌদি আরবের চাপেই সরে যেতে চান হারিরি এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এ হুঁশিয়ারি।
প্রেসিডেন্ট অউনের বক্তব্য, লেবানন ইস্যুতে কিছু করার আগে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন। এটি আগুনে ছাই দেয়ার সমান। কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ সংকটে হস্তক্ষেপ করে না লেবানন। অথচ আরব বিশ্বের ভাইয়েরা সবসময়ই শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে চলেছেন। দেশের চলমান সংকটও এ কারণেই তৈরি হয়েছে।
কুচকাওয়াজ শেষে, বুধবারই প্রেসিডেন্টের সাথে দেখা করেন হারিরি। এরপর জানান, প্রেসিডেন্টের অনুরোধে আপাতত স্থগিত রাখছেন পদত্যাগের সিদ্ধান্ত। আলোচনার মাধ্যমে লেবাননের সংকট সমাধানে সহায়তা করতে চান হারিরি।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply