বিশ্বকাপের শুরু থেকে ভালো খেলছেন সাকিব আল হাসান। বলা ভালো, তার ব্যাট হেসেই চলেছে। প্রথম ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাইলফলক স্পর্শ করেন বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার। মার্করামের উইকেট নিয়ে বিশ্বের দ্রুততম অলরাউন্ডার হিসেবে পাঁচ হাজার রান ও আড়াইশ’ উইকেটের মালিক হন তিনি। তিন ম্যাচে দুই হাফ সেঞ্চুরি ও এক সেঞ্চুরিতে ২৬০ রান নিয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন। ব্রিস্টলে শ্রীলংকার বিপক্ষে আজকের ম্যাচ হতে পারে সাকিবের জন্য আরেকটি মাইলফলক স্পর্শের মঞ্চ। ব্যাট হাতে বিশ্বকাপে যে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন তিনি, তাতে বন্ধু তামিম ইকবালের ক্লাবে নাম লেখানো তার জন্য শুধু সময়ের ব্যাপার। দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ছয় হাজার রানের মাইলফলক ছুঁতে তার প্রয়োজন মাত্র ২৩ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৫, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৪ এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২১ রানের মনকাড়া ইনিংস খেলেছেন। প্রথম তিন ম্যাচে ২৬০ রান। ২০১ ওয়ানডেতে সাকিবের রান ৫৯৭৭। তার চেয়ে পাঁচ ম্যাচ কম খেলে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শীর্ষে তামিম। এই বাঁ-হাতি ওপেনারের রান ৬৬৯৫। তিনে মুশফিকুর রহিম। উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মুশফিক ২০৮ ম্যাচ খেলে ৫৬৯৯ রান করেছেন। চারে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের রান ৩৮৫১।
সব মিলিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান শচীন টেন্ডুলকারের। ৪৬৩ ম্যাচে তিনি করেছেন ১৮ হাজার ৪২৬ রান। সব মিলিয়ে দশ হাজারি ক্লাবে রয়েছেন ১৪ ক্রিকেটার।
বিশ্বকাপ এবার যেন সাকিবের ইচ্ছা পূরণের মঞ্চ। প্রথম ম্যাচে মার্করামের উইকেট নিয়ে পঞ্চম অলরাউন্ডার হিসেবে ছুঁয়েছেন ২৫০ উইকেট ও পাঁচ হাজার রানের ডাবলসের কীর্তি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরের ম্যাচ ছিল তার ২০০তম ওয়ানডে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২১ রানের ইনিংস তাকে দিয়েছে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বকাপে সেঞ্চুরির মর্যাদা। এবার সামনে আড়াইশ’ উইকেট ও ছয় হাজারির ডাবলসের অভিজাত ক্লাবের ছোট্ট তালিকায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ।
Leave a reply