ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের সদর উপজেলার উত্তর নারায়নপুর থেকে ডাকবাংলা হল বাজার পর্যন্ত সড়কের মধ্যে ৩২টি বিদ্যুতের খুঁটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে এই অঞ্চলের সচেতন ব্যক্তিবর্গ।
তবে সর্বশেষ তাদের আশঙ্কাই সত্য প্রমাণিত হল। গত ১৩ মে ডাকবাংলা ত্রিমহনী ইসলামী ব্যাংকের সামনে যমুনা তেলবাহী একটি ট্রাক চালক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ট্রান্সমিটারসহ দুটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে লাগিয়ে দেয়। ফলে ট্রান্সমিটারসহ দুটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে যায়। ভোর ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে এলাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি।
স্থানীয়রা বলেন, ব্রিটিশ সময়ে বর্তমান মেহেরপুর নীলকুঠির সাথে স্থলপথে ঝিনাইদহের যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মধ্যে একটি। যা আজো মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলা হতে রাজধানীর সাথে যোগাযোগের গুরুত্ব বহন করে আসছে। প্রতিদিনই স্থানীরসহ দূর দুরান্তের যোগযোগের জন্য হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে থাকে। কিন্তু মহাসড়কে বিদ্যুতের খুঁটিগুলো অত্যন্ত ঝুঁকিতে রয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সাংবাদিকগণ বারবার বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা, ফেসবুক ও অনলাইন মিডিয়ার মাধ্যমে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগ ও বিদ্যুৎ বিভাগের নজরে আনার চেষ্টা করেও কোন লাভ হয়নি। এই দুর্ঘটনার জন্য সাধারন মানুষ এই সড়ক বিভাগ ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাকেই দুষলেন।
এ প্রসঙ্গে ঝিনাইদহ ওজোপাডিকো উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অনুপম চক্রবর্তীর সাথে কথা বললে তিনি দাবী করেন, ২৫টি খুঁটি ঝুকিপূর্ণ। এই ২৫টি খুঁটি অপসারণ করে প্রতিস্থাপন করতে ৪৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯শত ৩৯ টাকার বাজেট দিয়ে জানুয়ারী মাসের দিকে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ে পাঠান হয়েছে। তাতে সওজ অফিস বাজেটের এই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বাজেট কমাতে বলে। পরে মার্চ মাসে আরও একটি বাজেট দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলামের সাথে মঙ্গলবার সাড়ে ১১ টার দিকে অফিসে যেয়ে না পেয়ে পরে মোবাইলে ঘটনা জানার জন্য ফোন করলে তিনি এ বছর ওজোপাডিকোর কোন চিঠি পান নি বলে জানান। তবে এই কাজ প্রকল্পের মাধ্যমে হবে বলে জানানো হয়। ঠিক কবে নাগাদ হবে এ ব্যাপারে পরিস্কার করে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
Leave a reply