বাড়তে বাড়তে সোমবার দিল্লির সর্বোচ্চ পারদ পৌঁছে গিয়েছিল ৪৮ ডিগ্রিতে। আর সেটাই হল রেকর্ড। অতীতে দিল্লির পারদ এই পর্যায়ে কখনও পৌঁছোয়নি। মঙ্গলবার দিল্লির পারদ ১-২ ডিগ্রি কমলেও ৫০-এর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে আরও দুই জায়গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। উত্তরপ্রদেশের বান্দায় পারদ রেকর্ড করা হয়েছে ৪৯.২ ডিগ্রি এবং ইলাহাবাদে ৪৮.৯ ডিগ্রি। সপ্তাহ খানেক আগে দু’বার ৫০-এর গণ্ডি ছাড়িয়েছে রাজস্থানের চুরুর পারদ। সব মিলিয়ে দেশের ইতিহাসে এটিই সব থেকে ভয়াবহ দাবদাহ তা একবাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছে সব মহল।
আবহাওয়া দফতরের একটি তথ্য বলছে, ২০০৪ থেকে ২০১৮, এই ১৫ বছরের মধ্যে ১১টা বছর এমন গিয়েছে যেগুলি উষ্ণতম হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৮-কে ষষ্ঠ উষ্ণতম বছর আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ বার যা পরিস্থিতি, তাতে ২০১৯ অনেক রেকর্ড ভেঙে দেবে।
একটা তথ্য দেখলে বোঝা যাবে এ বার উপমহাদেশে গরমের পরিস্থিতি ঠিক কী রকম। গত সপ্তাহেই একটা সময় এসেছিল যখন দেখা যায় বিশ্বের ১৫টি উষ্ণতম স্থানের মধ্যে ১১টিই ভারতে অবস্থিত এবং বাকি চারটে পাকিস্তানের। লক্ষণীয় ব্যাপার হল এই তালিকায় আরব দেশের শহরগুলির স্থানই হয়নি।
এই তীব্র তাপপ্রবাহের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলেই আশঙ্কা তাদের। শুধুমাত্র তাপপ্রবাহের জন্যই ২০১০ থেকে ৬০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে ভারতে।
এ দিকে অত্যধিক গরমের কারণে মঙ্গলবার ঝাঁসি স্টেশনের কাছে ট্রেনের মধ্যেই মৃত্যু হয় চার জন যাত্রীর।
Leave a reply