Site icon Jamuna Television

অবশেষে ইমরান-মোদির সৌজন্য সাক্ষাৎ

অবশেষে বিশকেক সম্মেলনের শেষের দিকে এসে নরেন্দ্র মোদি ও ইমরান খানের মধ্যে শীতলতা কাটল। বিশকেকে এসসিও সম্মেলনের লাউঞ্জে শুক্রবার ‘সৌজন্য বিনিময়’ করেছেন ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা ও এনডিটিভির।

তাদের এ সৌজন্য সাক্ষাতের পরই দ্রুত খবর ছড়িয়ে যায় পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এটি কোনও আনুষ্ঠানিক বৈঠক নয়। তবে দুই নেতার কথা হয়েছে।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেন, এটি ছিল সামান্য আলাপচারিতা। সৌজন্য বিনিময়ও বটে। সাম্প্রতিক নির্বাচনে জয়ের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী।

লোকসভা ভোটের আগে ইমরান নিজেই বলেছিলেন, বিজেপির মতো দক্ষিণপন্থী দল দিল্লিতে ক্ষমতায় থাকলে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে সুবিধা হবে পাকিস্তানের, কারণ ‘অন্য’ দলটি হিন্দুদের প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত-পাক আলোচনা শুরু হলে ঘরোয়া রাজনীতিতে ইমরানের পক্ষেও তা স্বস্তিদায়ক হবে। পাক সেনাও সেটাই চায়।

রাজনৈতিক সূত্রের মতে, একই কক্ষে দীর্ঘক্ষণ থেকেও সামান্য সৌজন্য বিনিময় না-করাটা খুবই অস্বাভাবিক হয়ে উঠছিল। তাই মুখোমুখি হওয়াতে সেটুকু সেরেছেন মোদি।

ঘরোয়া রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এর বেশি তিনি এগোননি। অন্যদিকে, সাউথ ব্লকের পক্ষ থেকে ৮৭ জন ভারতীয় পূণ্যার্থীকে পাকিস্তান ভিসা না দেয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত।

পাকিস্তানের পাল্টা অভিযোগ, দুই’শ শিখকে লাহোর নিয়ে যেতে পাকিস্তানই ট্রেন পাঠিয়েছিল। ভিসাও দিয়েছিল। কিন্তু নয়াদিল্লি সেই ট্রেনকে সীমান্ত পার হতে দেয়নি।

Exit mobile version