বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং-৭৮৭ উড়োজাহাজ নিয়ে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে আনতে যাওয়ার সময় ভুল করে পাসপোর্ট বলাকার অফিসে ফেলে গিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল রোববার এ প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।
সোমবার তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, বিদেশ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আনতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশ বিমানের পাইলট ফজল মাহমুদ ভুল করে পাসপোর্ট বলাকা ভবনে তার অফিসে রেখে গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি তার সঙ্গে কথা বলে এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য তথ্য যাচাই করে নিশ্চিত হয়েছে, তিনি আসলে ভুল করে পাসপোর্ট ফেলে গিয়েছিলেন।
নাসিমা বেগম আরও বলেন, তদন্তে নিয়োজিত চার সদস্যের কমিটি বাড়িয়ে ছয় সদস্যের করা হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দুই কর্মকর্তাকে এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
অন্য তিন সদস্য হলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (বহিরাগমন-৪) মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী, কমিটির সদস্য সচিব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব (রাজনৈতিক-১) মো. জাহাঙ্গীর আলম।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত আরও জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ তদন্ত কমিটিকে প্রথমে তিন কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল। পরে কমিটি আরও তিন কর্মদিবস সময় বাড়িয়ে নেয়। সেই ছয় কর্মদিবস শেষ হওয়ার আগেই রোববার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের হাতে কমিটি প্রতিবেদন তুলে দেয়।
প্রসঙ্গত গত ৬ জুন ফিনল্যান্ড থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিমানের বোয়িং ৭৮৭ উড়োজাহাজ নিয়ে রওনা হন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ।
কাতারের দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ট্রানজিট পয়েন্টে থাকা একটি হোটেলে তার থাকার ব্যবস্থা করা হয়। তবে তিনি কাতারের ট্রানজিট পয়েন্ট পার হয়ে দেশটির ভেতরে প্রবেশ করতে গেলে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তার পাসপোর্ট দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে পারেননি।
পরে ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদকে বিমানবন্দরটির ইমিগ্রেশনের হেফাজতে নেয়া হয়। এ ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার ফ্লাইটের দায়িত্ব থেকে তাকে সরিয়ে নেয়া হয়। আর ফজল মাহমুদের পরিবর্তে বিমানের অন্য পাইলটকে পাঠানো হয়।
Leave a reply