বৃষ্টি আর উজানের ঢল অব্যাহত থাকায়, আজও বিপৎসীমার অনেক ওপর দিয়ে বইছে, দেশের প্রধান নদ-নদীর পানি। এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যার কারণে মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের।
সকালে জামালপুরের মাদারগঞ্জে চাঁদপুর-নাংলা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৫০ মিটার অংশ ভেঙে প্লাবিত ১৫টি গ্রাম। এছাড়া উত্তরের প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় অবনতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির।
সবশেষ খবর পর্যন্ত, নেত্রকোণায় জারিয়া পয়েন্টে কংস নদীর পানি বিপৎসীমার ১৬২ সে.মি., উব্দাখালি ৯৭ সে.মি., যমুনার পানি বগুড়ার সারিয়াকান্দি পয়েন্টে ১০২ সে.মি., জামালপুরের বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে ১৩৩ সে.মি., মানিকগঞ্জের আরিচা পয়েন্টে ৩১ সে.মি., সিরাজগঞ্জে হার্ট পয়েন্টে ১২৬ সে.মি.; ধরলা নদীর পানি কুড়িগ্রামে ১০১ সে.মি., লালমনিরহাটের কুলাঘাট পয়েন্টে ১০১ সে.মি., ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারীতে ৮৫ সে.মি., গাইবান্ধায় ১০০ সে.মি.; নেত্রকোণার কংস নদ বিপৎসীমার ১৮২ সে.মি., উব্দাখালি নদী ১০০ সে.মি., সোমেশ্বরী নদীর পানি ৪৫ সে.মি.; সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি ৯৪ সে. মি. ও দিনাজপুরে পুনর্ভবা ৭৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, পদ্মাসহ বেশ কয়েকটি নদীর পানি আগামী কয়েক ঘণ্টায় বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।
/আরএএম
Leave a reply