বরিশাল ব্যুরো
বরিশাল থেকে ঢাকাগামী এমভি সুন্দরবন-১০ লঞ্চে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে মেঘনা নদীর চাঁদপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রীরা। গভীর রাতে মাঝ নদীতে এ অগ্নিকান্ডের সময় লঞ্চটিতে ২ হাজারের বেশি যাত্রী ছিলো।
লঞ্চের যাত্রী ঢাকার মগবাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বার মুন্সী মুঠোফোনে জানান, বরিশালের সীমানা অতিক্রম করে মেঘনা নদীতে যেতেই আগে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয় এমভি কীর্তনখোলা-১০ ও এমভি সুন্দরবন-১০ নামের লঞ্চ দুটি। এক পর্যায়ে সুন্দরবন লঞ্চের তিন তলার পিছনের দিকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে ধোয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় লঞ্চটি। আতঙ্কে লঞ্চের মধ্যে ছোটাছুটি শুরু করে যাত্রীরা। কেউ কেউ আবার বয়া নিয়ে নদীতে ঝাপ দেয়ার প্রস্তুতি নেয়। এদিকে এক ঘন্টার বেশি সময় চেষ্টা চালিয়ে পাইপের মাধ্যমে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে লঞ্চের কর্মচারীরা। পরে চাঁদপুর নৌ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। আগুন পুরোপুরি নিভে গেছে কিনা তা নিশ্চিত করেন তারা। এরপর তার আড়াই টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় লঞ্চটি।
এদিকে লঞ্চের একাধিক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, আগুনের ছবি তুলতে গেলে যাত্রীদের সাথে মারমুখী আচরন করেন লঞ্চের কর্মচারীরা। কয়েকজনের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে নদীতে ফেলে দেয় তারা।
তবে এ ব্যাপারে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ কারো বক্তব্য পাওয়া যায় নি। মুঠোফোনের মাধ্যমে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোন ধরেন নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মচারী জানান, দ্রুতগতিতে চলার ফলে সাইলেন্সার পাইপ গরম হয়ে আগুনের সুত্রপাত হতে পারে। এতে লঞ্চের পিছনের অংশে বেশ কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
Leave a reply