ঝিনাইদহে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। আহত অবস্থায় নববধূকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ১২ মে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শেরকান্দি গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে পুলিশ সদস্য শাহজালাল রহমান শোভনের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার উমেদপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম সাচ্চু মিয়ার মেয়ে শাহিনা খাতুনের।
বর্তমানে শোভন ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনসে কর্মরত আছেন। গত ৮ জুন থেকে ঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে তারা বসবাস শুরু করে।
শাহিনা খাতুন অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই কারণে-অকারণে তাকে মারধর করে পুলিশ সদস্য শোভন।
মঙ্গলবার সকালে শাহিনা খাতুন ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে যাওয়ার কথা বললে গালি-গালাজ ও মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয়। পরবর্তীতে দুপুরে তাকে ঘরের মধ্যে আটকে রড দিয়ে মারধর করে। এমনকি তাকে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। এ সময় সে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন টের পেয়ে তাকে উদ্ধারের জন্য দরজা খুলতে বলে।
শোভন দরজা খুলে দিলে মেয়েটি ঘর থেকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে শোভন তাকে ধারালো বটি দিয়ে তাড়া করে। তখন পরিবারের লোকজন শাহিনাকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য শাহজালাল রহমান শোভন বলেন, আমি আমার স্ত্রীর মোবাইল ফোন প্রায় বিজি পাই। মোবাইল এত বিজি কেন এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে কোন জবাব দেয়নি। এছাড়াও পারিবারিক কিছু সমস্যার কারণে তাকে চড়-থাপ্পড় মারতে বাধ্য হয়েছি।
ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনস আরআই তপন কুমার বড়ুয়া বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে কনস্টেবল শাহজালাল শোভন অনুমতি ছাড়াই বেশ কিছুদিন ধরে পুলিশ লাইনসে অনুপস্থিত রয়েছে। সে দ্বায়িত্ব পালন করে না।
Leave a reply