কখনও কখনও ভুল ছবিটা সামনে নিয়ে আসে পরিসংখ্যান। একদিনের ক্রিকেটে ইংল্যান্ড-শ্রীলংকা দ্বৈরথের ইতিহাস দেখলে দারুণ এক লড়াইয়ের ছবিই ভেসে ওঠে। মুখোমুখি লড়াইয়ে ইংল্যান্ডের ৩৬ জয়ের বিপরীতে শ্রীলংকার জয় ৩৫টি। বিশ্বকাপের ১০ ম্যাচেও ব্যবধান সামান্য।
ইংল্যান্ডের ছয় জয়ের বিপরীতে শ্রীলংকার জয় চারটি। গত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে নয় উইকেটে হারিয়েছিল শ্রীলংকা। কিন্তু এসব বোকা তথ্যে আস্থা রাখলে বড় ভুল করবেন! অর্থহীন অতীত একপাশে সরিয়ে রাখলে এই লড়াইটা এখন ডেভিড বনাম গোলিয়াথ দ্বৈরথের মতোই অসম।
ইংল্যান্ড যখন তাদের ক্রিকেট ইতিহাসের চূড়ায়, নতুন বাস্তবতায় বিশ্বকাপে টিকে থাকার লড়াইয়ে নামছে শ্রীলংকা। লিডসের হেডিংলিতে আজ তাদের ইংল্যান্ড-পরীক্ষা। সেমির স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে টুর্নামেন্টের হট ফেভারিটদের বিপক্ষে জয়ের কোনো বিকল্প নেই বিপন্ন লংকানদের সামনে।
পাঁচ ম্যাচে শ্রীলংকার প্রাপ্তি সাকুল্যে চার পয়েন্ট। একমাত্র জয় আফগানিস্তানের বিপক্ষে। বাকি দুই পয়েন্ট এসেছে বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া দুই ম্যাচ থেকে। শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৮৭ রানের প্রতিরোধহীন হারের ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই নামতে হচ্ছে আরেক অগ্নিপরীক্ষায়।
ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচের চারটিতে জিতে ফেভারিটের মতোই এগিয়ে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। পাকিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র হার বাদ দিলে স্বাগতিকদের সামনে দাঁড়াতে পারছে না কেউই। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ দুটি স্কোরই ইংল্যান্ডের।
হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে এই ম্যাচেও খেলা হচ্ছে না ইংলিশ ওপেনার জেসন রয়ের। কিন্তু ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপের যে গভীরতা, তাতে একজনের অনুপস্থিতি কোনো সমস্যাই নয়। আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ পাঁচটি সেঞ্চুরি করেছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। বাটলার, মরগ্যান, বেয়ারস্টোরা নিয়মিত ঝড় তুললেও ধারাবাহিকতায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন জো রুট।
বোলিংয়েও গতির ঝড়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন আর্চার, উডরা। দুর্বার এই ইংল্যান্ডকে মাটিতে নামাতে অবিশ্বাস্য কিছু করে দেখাতে হবে শ্রীলংকাকে। বোলিংটা তাদের মন্দ না হলেও ছন্নছাড়া ব্যাটিং প্রতি ম্যাচেই ডোবাচ্ছে দলকে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই শ্রীলংকার।
Leave a reply