বিদেশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ‘পরিকল্পিত অপপ্রচার’ চালাচ্ছে একটি গোষ্ঠী- এমন অভিযোগ করে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরতে রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথম রাষ্ট্রদূত সম্মেলেন প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব। সেজন্য দ্বিপাক্ষিক চেষ্টার বিষয়ে আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, প্রতিবেশীদের জন্য দরজা বন্ধ করে বসে থাকার সুযোগ নেই। সমর্মযাদার ভিত্তিতেই বন্ধুত্ব হতে হবে।
এই প্রথম, দেশের মাটিতে একসাথে বসলেন বিদেশে কর্মরত সব বাংলাদেশি মিশন প্রধান। অনুষ্ঠানের নাম এনভয়েস কনফারেন্স। উদ্বোধনী আসরের প্রধান বক্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার প্রধানের কাছ থেকে কূটনীতিসহ সমসাময়িক ইস্যুতে সরাসরি নির্দেশনা পেলেন বাংলাদেশি কূটনীতিকরা।
টানা প্রায় ঘণ্টাখানেকের বক্তৃতায় মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে চলমান রোহিঙ্গা সমস্যা- কূটনীতির সব বিষয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। জানান, কূটনীতিতে এখন অর্থনীতিই মূখ্য। তাঁর প্রত্যাশা, কেটে যাবে মিয়ানমারের সাথে চলমান সংকট।
বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। এ কাজে মিশনগুলোর তৎপরতা বৃদ্ধির তাগিদ ছিল তাঁর বক্তৃতায়। বলেন, অন্য রাষ্ট্রের সাথে সমমর্যাদার ভিত্তিতেই বন্ধুত্ব চায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যহত করার প্রচেষ্টা বিদেশেও হচ্ছে বলে রাষ্ট্রদূতদের সতর্ক করেন শেখ হাসিনা।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বার্থরক্ষায় মিশন প্রধানদের তাগিদ দেন শেখ হাসিনা। বলেন, ভুলে গেলে চলবে না, তাদের অর্থেই সমৃদ্ধ হচ্ছে দেশ। সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়, বঙ্গবন্ধুর দেখানো এই পথেই বাংলাদেশ চলবে বলেও স্পষ্ট করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনদিনব্যাপী এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন ৫৮টি দেশে কর্মরত ৫৯ জন বাংলাদেশি মিশন প্রধান।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply