ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নয়া নিষেধাজ্ঞাকে ‘আশঙ্কাজনক’ আখ্যা দিয়ে রাশিয়া বলেছে, এ নিষেধাজ্ঞা এই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, তেহরান-ওয়াশিংটন উত্তেজনা একটি বিপজ্জনক পরিণতির দিকে এগোচ্ছে।
মালদ্বীপ সফররত রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে লক্ষ্য করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার দিকে ইঙ্গিত করে লাভরভ বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সিনিয়র কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগতভাবে টার্গেট করে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তিনি বলেন, বর্তমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি ২০০৩ সালের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যখন যুক্তরাষ্ট্রে আক্রমণ চালানোর জন্য একটি অজুহাত খুঁজছিল।
উল্লেখ্য, ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র থাকার দাবি করে ২০০৩ সালে দেশটিতে আগ্রাসন চালানোর নির্দেশ দেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ।
সেটি স্মরণ করিয়ে দিয়ে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেই সময় ওয়াশিংটন দাবি করেছিল, ইরাকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র আছে। কিন্তু পরে ইরাক দখলের পর এ ধরনের কোনো অস্ত্রই পাওয়া যায়নি।
লাভরভ বলেন, আমরা সবাই যুদ্ধের পরিণতিটা জানি। ২০০৩ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ ঘোষণা করে। কিন্তু গত ১৬ বছর ধরে আমরা সে গণতন্ত্রের স্বরূপ হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি।
প্রসঙ্গত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা, তার কার্যালয় ও ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির আট শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। মার্কিন অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহেই ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হবে।
এর প্রতিক্রিয়ায় ইরান বলছে, এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার দরজা চিরতরে বন্ধ করে দিয়েছে।
Leave a reply