ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ফের ইরানের সমুদ্র ও আকাশসীমা লঙ্ঘন করলে এর কঠোর জবাব দিতে সশস্ত্র বাহিনীকে নির্দেশ দিয়ে রাখা হয়েছে।
তিনি মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর সঙ্গে এক টেলিফোনালাপে এ হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
রুহানি বলেন, ইউরোপ যদি পরমাণু সমঝোতা থেকে ইরানকে লাভবান করতে না পারে, তা হলে এই সমঝোতার ২৬ ও ৩৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী তেহরান নিজের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন শিথিল করে দেবে।
তিনি এও বলেন যে, ইরান এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে না যেখান থেকে ফিরে আসা সম্ভব নয়। যখনই পরমাণু সমঝোতার অন্যান্য দেশ ইরানের তেল রফতানি ও ব্যাংকিং লেনদেন স্বাভাবিক করার ব্যবস্থা নেবে, তখনই তেহরান আবার সর্বোতভাবে এ সমঝোতা বাস্তবায়ন শুরু করবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত অচলাবস্থা পুরোপুরি কাটবে না বলেও তিনি সতর্ক করেন।
হাসান রুহানি বলেন, ২০১৫ সালে পরমাণু সমঝোতা স্বাক্ষরের পর থেকে সব পক্ষ যদি এটি ঠিকমতো বাস্তবায়ন করত তা হলে মধ্যপ্রাচ্যসহ সারাবিশ্বে শান্তির বাতাস বইত। পারস্য উপসাগরে এখন যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে তা হতো না।
টেলিফোনালাপে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফাভাবে বেরিয়ে যাওয়া ও তেহরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জোরদার হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ফ্রান্স পরমাণু সমঝোতায় অটল রয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে এ সমঝোতায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, উত্তেজনা ও সংঘাত ইরানের মোটেও পছন্দ নয় এবং তেহরান যেকোনো সংঘর্ষ থেকে দূরে থাকতে চায়।
Leave a reply