মুক্তিযুদ্ধের সময় দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা ও তার ছেলেসহ সাতজনকে হত্যার ঘটনায় টাঙ্গাইলের মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে করা যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় পড়া শুরু হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক বৃহস্পতিবার সকালে ২৩৫ পৃষ্টার এ রায় পড়া শুরু করেন।
এর আগে বুধবার বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায়ের দিন ধার্য করেন।
এর আগে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত ২৪ এপ্রিল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।
অপহরণ, আটকে রেখে নির্যাতন, হত্যা- গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে টাঙ্গাইলের মাহবুবের বিরুদ্ধে। রাষ্ট্রপক্ষের দাবি তিনটি ঘটনায় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে সক্ষম হয়েছেন তারা। মাহবুবের সর্বোচ্চ সাজার আশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করছেন প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত। আসামিপক্ষে ছিলেন গাজী এমএইচ তামিম।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের তথ্যানুযায়ী, ৭০ বছর বয়সী আসামি মাহবুবুর একাত্তরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর শান্তি কমিটির সভাপতি বৈরাটিয়াপাড়ার আবদুল ওয়াদুদের ছেলে। মাহবুবুর ও তার ভাই আবদুল মান্নান সেই সময় রাজাকার বাহিনীতে ছিলেন।
যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি অভিযোগ এনেছিল প্রসিকিউশন। আমরা মনে করি তিনটি অভিযোগই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ এ মামলায় ১৩ সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। যেসব সাক্ষ্যপ্রমাণ আমরা উপস্থাপন করেছি, তাতে আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চেয়েছি।
গত বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
১১ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ আমলে নেয়ার পর ২৮ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে তার বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
এক বছরের বেশি সময় পর বুধবার আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হলে ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে।
Leave a reply