বিশ্বকাপের শুরু থেকেই বাংলাদেশের ভাবনা ডেথ ওভার নিয়ে। ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই যেন বাংলাদেশের শত্রু এই ডেথ ওভার। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ৩১-৫০ ওভার।
আর বোলিংয়ে ৪১-৫০ ওভার বোলারদের জন্য আরও কঠিন। ২ জুলাই ভারতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচের আগে ডেথ ওভারের ভাবনা আরও বড় করে সামনে আসছে। শেষদিকে দ্রুত রান তোলার জন্য ভারতের আছে এমএস ধোনি ও হার্দিক পান্ডিয়ার মতো ব্যাটসম্যান। তেমনি বোলিংয়ে শেষ ১০ ওভারে জাসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সামি ব্যবধান গড়ে দিতে পারেন। শেষ দিকে দ্রুত রান তোলায় বাংলাদেশের মাহমুদউল্লাহর রেকর্ড যথেষ্ট ভালো। কিন্তু তিনিও এখন ইনজুরিতে। ভারতের বিপক্ষে তার খেলার সম্ভাবনা ফিফটি-ফিফটি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আসরের প্রথম ম্যাচে ডেথ ওভারে যা একটু ভালো করেছিলেন মাহমুদউল্লাহরা। শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছিল ৮৬ রান। সেখানে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে এই সময়ে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ৬৯ রান। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রান বন্যার ম্যাচে শেষ ১০ ওভারই গড়ে দিয়েছিল ব্যবধান। মোস্তাফিজ-মাশরাফিদের পিটিয়ে ছাতু করে অস্ট্রেলিয়া শেষ ১০ ওভারে তুলেছিল ১৩১ রান।
ইংল্যান্ড এই সময়ে তোলে ১১১ রান। বিপরীতে কোনো ম্যাচেই ডেথ ওভারে সত্যিকারের ঝড় তুলতে পারছে না বাংলাদেশ। যদিও এবার বিশ্বকাপে তিনশ’র বেশি রান তাড়া করে জয়ের একমাত্র নজির বাংলাদেশের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চারশ’ ছুঁই ছুঁই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও ৩৩৩ রান তুলেছিল টাইগাররা। এই দুই ম্যাচে মাঝের ওভারগুলোতে ভালো ব্যাটিংয়ের কারণেই স্কোরটা বড় হয়েছে।
২০১৫ সালে পাওয়ার প্লে’র নতুন নিয়মের পর থেকেই শেষ ২০ ওভারে বাংলাদেশের রান তোলার গতিতে ভাটার টান। শেষ ৬০ বলে শীর্ষ ১০ দলের মধ্যে সর্বোচ্চ রান তোলায় বাংলাদেশ আছে নবম স্থানে। এ চার বছরে শেষ ২০ ওভারে সবচেয়ে বেশি রান তুলেছে ইংল্যান্ড। তারা ওভারপ্রতি ৭.২৬ গড়ে রান তুলেছে।বাংলাদেশ তুলেছে ওভারপ্রতি ৫.৮৮ গড়ে। শেষ ১০ ওভারে ইংল্যান্ডের আশপাশে কেউ নেই। ২০১৫ বিশ্বকাপ থেকে ২০১৯ বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত ইংল্যান্ড ওভারপ্রতি ৮.৪৯ গড়ে রান তুলেছে। ডেথ ওভারে রান তোলায় অন্য দলগুলোর চেয়ে অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ।
Leave a reply