‘শেষ কয়েক ওভারে জয়ের চেষ্টা করতে দেখা যায়নি ধোনিকে’

|

জয়ের জন্য শেষ ১১ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ১১৪ রান। হাতে ছিল ৬ উইকেট। ক্রিজে ছিলেন স্বীকৃত ব্যাটসম্যান মহেন্দ্র সিং ধোনি। ব্যাটিংস্বর্গে সেই রান তোলা খুব কঠিন ছিল না। তবে সে রকম কোনো চেষ্টা করতে দেখা যায়নি মিস্টার ফিনিশারকে।

শেষ দিকে ধোনির এ রকম ব্যাটিং ভীষণ দৃষ্টিকটু ঠেকেছে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জেরেকারের কাছে। সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে তিনি বলেন, এবারের বিশ্বকাপে ভারতের জয়রথ থামানোর মতো একটিই দল ছিল। সেটি ছিল ইংল্যান্ড। শেষ কয়েক ওভারে ধোনির ব্যাটিং ছিল দৃষ্টিকটু।

রোববার বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনের উইকেট ছিল পুরো ব্যাটিংবান্ধব। বল সোজা ব্যাটে আসছিল। পেসাররা বাড়তি বাউন্স বা সুইং পাচ্ছিলেন না। স্পিন টার্নও করছিল না। এখানে রান তোলা কঠিন কিছু ছিল না।

কিন্তু সেই প্রচেষ্টা ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দেখা যায়নি। হাতে গোটা ৫ উইকেট ও যথেষ্ট ওভার থাকার পরও জেতার জন্য ব্যাট চালাননি তারা। শেষ পর্যন্ত ৩১ রানে হেরে গেছে ভারত।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে- ম্যাচটি কি পাতানো ছিল? সেটি কি ইচ্ছা করেই ইংল্যান্ডকে ছেড়ে দিয়েছে টিম ইন্ডিয়া?

এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৩৩৭/৭ রানের পাহাড় গড়ে ইংল্যান্ড। ১০৯ বলে ১০ চার ও ৬ ছক্কায় ১১১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন জনি বেয়ারস্টো। ৫৪ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ঝড়ো ৭৯ রান করেন বেন স্টোকস। এ ছাড়া ৫৭ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৬৬ রানের টর্নেডো ইনিংস উপহার দেন জেসন রয়।

এদিন শুরু থেকেই রান তোলার দিকে মনোযোগী হয় ইংল্যান্ড। তবে প্রাণপণে তাতে বাঁধ দেয়ার চেষ্টা করেননি ভারতের বোলাররা। পরে ব্যাটিংয়েও দ্রুতগতিতে রান তুলতে দেখা যায়নি ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের।

যা একটু লোক দেখানো চেষ্টা করেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। তবে তাদের রান তোলার গতি ছিল মন্থর। এবারের বিশ্বকাপে তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন রোহিত। ১০৯ বলে ১৫ চারে ১০২ রানের ইনংস খেলে বিদায় নেন হিটম্যান। আর ৭৬ বলে ৭ চারে ৬৬ রান করেন কোহলি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply