ভৈরব প্রতিনিধি
ভৈরবের মেডিল্যাব হাসপাতালের ডাক্তার কেএনএম জাহাঙ্গীর আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে কিশোরগন্জ আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তেভাগী রোগীর বাবা। চিকিৎসকের ভুলে তানিয়া বেগম (১৯) নামের এক গৃহবধুর গর্ভের সন্তান নষ্ট হওয়ার অভিযোগ এনে তার বাবা আক্কাছ আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
তানিয়ার বাড়ী কিশোরগন্জের কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আবদুল্লাহপুর গ্রামে। মামলায় অন্য দুই আসামি হলেন হাসপাতালের মালিক ডাঃ জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী তামান্না ফেরদৌসী এবং ডা. হাফিজা খাতুন।
গত রবিবার তানিয়ার বাবা বাদী হয়ে কিশোরগন্জের সহকারী ম্যাজিষ্ট্যাটের আমলী আদালত -২ এ মামলাটি দায়ের করেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে মামলার শুনানী শেষে আদালত ভৈরব থানার ওসিকে ঘটনাটি তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিল করতে আদেশ প্রদান করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ মে তানিয়ার পেটে ব্যথা শুরু হলে তাকে ভৈরবের মেডিল্যাব জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াবেটিক সেন্টারে নেয়ার পর হাসপাতালের মালিক ডা. কেএনএম জাহাঙ্গীর এবং ডা. হাফিজা খাতুন তানিয়াকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে ২ দিন রেখে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান, তানিয়ার পিত্তথলিতে পাথর ও গর্ভে ৪ মাসের সন্তান আছে। এ রিপোর্ট অনুযায়ী চিকিৎসা চালিয়ে যান তারা। কিছুটা সুস্থ হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে তানিয়াকে বাড়ি নিয়ে যায় তার পরিবার।
পরে ২০ মে পুনরায় পেটে ব্যথা শুরু হলে তানিয়াকে আবার ওই হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলেন, তানিয়ার কিডনি ফুলে গেছে। চিকিৎসকরা দুই রকম কথা বলায় তানিয়ার পরিবারে সন্দেহ হলে তারা ওই হাসপাতাল থেকে বের করে নিয়ে ২১ মে বাজিতপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে পরীক্ষা করে জানা যায়, তানিয়ার পিত্তথলিতে কোনো পাথর নেই। এমনকি কিডনিও ফুলে যায়নি। তানিয়ার এপেন্ডিসাইটিস ফেটে গেছে। চিকিৎসাকালে তানিয়ার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। পরে তানিয়ার অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে ডা. কেএনএম জাহাঙ্গীর বলেন, চিকিৎসায় আমাদের কোনো গাফিলতি বা ভুল ছিল না।
Leave a reply