এক ম্যাচ হাতে রেখেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে ভারত। ফাইনালে উঠতে পারলে এই বিশ্বকাপে আর সর্বোচ্চ তিনটি ম্যাচ খেলার সুযোগ আছে তাদের। ভারতীয় মিডিয়ায় জোর গুঞ্জন, বিশ্বকাপে ভারতের শেষ ম্যাচটিই হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মহেন্দ্র সিং ধোনির বিদায়ী ম্যাচ! ভারতীয় ক্রিকেটে ধোনির যে অবদান তাতে তাকে জোর করে অবসরে পাঠালে তোপের মুখে পড়বে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
কৌশলে তাই সিদ্ধান্তটা ধোনির ওপরই ছেড়ে দিয়েছে বোর্ড। আকারে-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছে, বিশ্বকাপের পর অবসর না নিলে দলে জায়গা হারাতে পারেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। বোর্ডের মনোভাব বুঝতে পেরে ধোনিও নাকি ব্রাত্য হওয়ার আগে মাথা উঁচু করে বিদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিনিশার হিসেবে যে খ্যাতি ছিল ধোনির, এই বিশ্বকাপে তা হুমকির মুখে পড়ে গেছে। বয়সের ছাপ পড়েছে তার পারফরম্যান্সে। সাত ম্যাচে করেছেন ২২৩ রান। সবচেয়ে বড় কথা, স্লগ ওভারে প্রত্যাশিত ঝড়ো ব্যাটিং করতে পারছেন না ধোনি। মেটাতে পারছেন না সময়ের দাবি। স্ট্রাইক রোটেট করার কাজটাও করতে পারছেন না ঠিকঠাক।
শচীন টেন্ডুলকার ও সৌরভ গাঙ্গুলীর মতো সাবেকরা তার মন্থর ব্যাটিং নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন। ধোনি নিজেও হয়তো শুনছেন শেষের ডাক। বিসিসিআইয়ের একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ‘এমএস ধোনির ব্যাপারে চূড়ান্ত কথা বলা যায় না। তবে মনে হয় না যে, এই বিশ্বকাপের পর ভারতের হয়ে সে খেলা চালিয়ে যাবে।’
ভারতের বর্তমান নির্বাচক কমিটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী অক্টোবরে। এরপর নতুন কমিটির প্রথম মিশন হবে ২০২০ টি ২০ বিশ্বকাপের জন্য রূপরেখা নির্ধারণ। সেখানে ভবিষ্যতে চোখ রেখে প্রাধান্য দেয়া হবে তারুণ্যকে। এই বিশ্বকাপেই তার আভাস মিলেছে।
গত দু’বছরে চার নম্বর পজিশনে ভারতের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান ছিলেন অম্বাতি রাইডু। কিন্তু তাকে উপেক্ষা করে বিশ্বকাপ দলে নেয়া হয় বিজয় শংকরকে। ৩৩ বছর বয়সী রাইডুকে রাখা হয়েছিল অপেক্ষমাণের তালিকায়। বিশ্বকাপ শুরুর পর চোটের থাবায় দলে দুটি পরিবর্তন এলেও বুড়ো রাইডুর কপাল ফেরেনি। দলে ডাকা হয় দুই তরুণ ঋষভ পন্ত ও মায়াংক আগারওয়ালকে।
নিজের ভবিতব্য বুঝতে পেরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে কাল বিদায় জানিয়ে দিয়েছেন অভিমানী রাইডু। বিশ্বকাপের পর সরে না দাঁড়ালে একই পরিণতি হতে পারে ধোনিরও। ২০২০ টি ২০ বিশ্বকাপে তারুণ্যনির্ভর দল পাঠাবে ভারত। ধোনির পেছনে বিনিয়োগে আর উৎসাহী নয় বিসিসিআই।
Leave a reply