স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর:
উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার একটি অভিবাসী আটক ক্যাম্পে বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে শাহজালাল কাজী (২৫) নামের এক বাংলাদেশী রয়েছে।
নিহত ওই ব্যক্তি মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের দক্ষিন খাকছাড়া গ্রামের ফজল কাজীর ছেলে। লিবিয়ায় থাকা নিহতের চাচাতো ভাই জুয়েল বিষয়টি বাড়িতে শাহ জালালের মা-বাবাকে বৃহস্পতিবার দুপুরে জানিয়েছেন।
নিহত হওয়ার সংবাদ পাওয়ার পর থেকেই শাহজালালের বাড়ীতে শোকের মাতম। শান্তনা দিতে গ্রামের লোকজন ভিড় করছেন।
নিঁখোজ রয়েছেন নিহতের শ্যালক শহিদুল ইসলাম নামের একজন। আহত রয়েছেন নিহতের চাচাতো ভাই জুয়েল। আহত জুয়েল ফোনে বাড়িতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। নিহত শাহ জালালের স্ত্রী ও এক কন্যা শিশু রয়েছে। অন্যদিকে নিঁখোজ শহিদুল ইসলাম নিহত শাহজালালের শ্যালক ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইতালী যাওয়ার জন্য গত রোজার মাসে দালালের মাধ্যমে লিবিয়া যায় মাদারীপুরের শাহ জালাল কাজী, চাচাতো ভাই জুয়েল ও শহিদুল। ইতালি যাওয়ার জন্য লিবিয়াতে অবস্থাকালে লিবিয়া পুলিশের হাতে আটক হন তারা। পরে তাদেরকে লিবিয়াতে অন্যদের সাথে একটি অভিবাসী আটক কেন্দ্রে রাখা হয়। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোর রাতে ত্রিপোলির পূর্বাঞ্চলের ওই অভিবাসী আটক কেন্দ্রে বিমান হামলা চালানো হলে এতে ৪০ জন নিহত হন। আহত হন কমপক্ষে ৮০ জন। নিহতদের মধ্যে মাদারীপুরের শাহজালাল কাজী রয়েছেন বলে জানা গেছে। নিঁখোজ রয়েছেন শহিদুল ইসলাম। তবে আহত রয়েছেন নিহতের চাচাতো ভাই জুয়েল। তিনি পরে ফোনে বাড়িতে এ তথ্য দেন।
নিহত শাহজালালের বোন রুবি বেগম বলেন, ‘ আমার ভাই ইতালী যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে দালালের পরামর্শে লিবিয়াতে গিয়ে মারা গেল। ভাইয়ের লাশটি যেন বাড়িতে আসে। শেষ বারের মতো ভাইয়ের লাশটি দেখতে চাই আমরা।’
Leave a reply