বিশ্বকাপের শেষ বারের মত টস করতে নামেন মাশরাফি বিন মোর্তজা। তবে ভাগ্য সহায় হয়নি। লর্ডসে প্রথম আর এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে বল হাতে মিরাজ সাইফুদ্দিনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে অন্তত ২৫ ওভার পর্যন্ত প্রাধান্য বিস্তার করছে বাংলাদেশ। উইকেট একটি হারালেও ৪ দশমিক ৬ গড়ে রান পাকিস্তান তোলে ১১৬ রান।
নতুন বলে প্রথম সাফল্য আসে সাইফুদ্দিনের হাত ধরে। ফখরজ্জামানকে ফেরান তিনি।
সাইফ-মিরাজের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে উইকেট হাতে রেখে বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেন বাবর ওয়াসিম জুটি। তবে ম্যাচের গল্পটা ভিন্ন হতে পারতো ৫৭ রানে থাকা বাবরের ক্যাচ মোসাদ্দেক হাতে জমাতে পারলে। তবে এদিনও ওই ফিল্ডিংয়ের দৈন্যতার জন্য দু’জনের ১৫৭ রানের জুটি বাংলাদেশকে শেষ পর্যন্ত দাঁড় করায় বড় চ্যালেঞ্জের সামনে।
৯৬ রান করা বাবরকে অসাধারণ এক ডেলিভারিতে ফিরিয়ে মোমেন্টাম বাংলাদেশের পক্ষে নিয়ে আসেন সাইফুদ্দিন।
তবে অবিচল’ ইমামুল ঠিকই সেঞ্চুরি তুলে নিলেও হিট উইকেটে ফিরতে হয় তাকে। ততক্ষণে বড় স্কোরের মহাসড়কে পাকিস্তান।
হারিস সোহেলকে ফিরিয়ে দ্রুততম ১০০ উইকেট শিকারের তালিকায় ৪ নম্বরে এখন মোস্তাফিজুর রহমান। শেষ দিকে ইমাদ ওয়াসিমের তাণ্ডবে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১৫ রান তুলে পাকিস্তান।
খরুচে হলেও সাইফুদ্দিন তিন আর টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ উইকেট শিকার করে নিজের প্রথম ম্যাচে লর্ডসের রেকর্ড বুকে নাম লিখিয়েছেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানের।
২০০২ সালে লর্ডসে একমাত্র ৩ শতাধিক রান তাড়া করার রেকর্ড ভারতের। তবে দ্বিতীয় সর্বচ্চ রান তাড়ার চ্যালেঞ্জটা নিতে পারেনি তামিম-সৌম্যের ওপেনিং জুটি। ভালো শুরুর পরও ইনিংস লম্বা হয়নি সৌম্য সরকারের। আর গোটা বিশ্বকাপে ছায়া হয়ে থাকা তামিম ইকবাল বের হতে পারেননি খোলস ছেড়ে। দৃষ্টিকটু আউটের আক্ষেপ নিয়েই ২২ বলে ৮ রান করে বিশ্বকাপ শেষ করতে হয় তামিমের।
পরে মুশফিক ১৬ রানে ওয়াহাব রিয়াজের শিকার হলে ৭৮ রানে ৩ টপ অর্ডারকে হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ। হাফ সেঞ্চুরিকে রীতিমত ছেলেখেলা বানিয়ে ফেলা সাকিব এদিন ছিলেন অনন্য। লিটন-সাকিব জুটি স্বপ্ন দেখলেও আক্ষেপ ৫৮ রানে থামলো। আসলে দুই শতকের পর পঞ্চম অর্ধশতক তুলে ৬৪ রানে সাকিব ফিরলে মূলত তখনই থমকে যায় বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন।
পরে মাহমুদুল্লাহ মোসাদ্দেকদের ব্যাট আশাবাদী করতে পারেনি টাইগারদের। শেষ পর্যন্ত ৪৪.১ ওভারে ২২১ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। এতে ৯৪ রানের হার মেনে নিতে হয় মাশরাফীদের।
Leave a reply