মাহমুদুর রহমান তারেক, সুনামগঞ্জ
মাত্র দুই মাস আগে ঢাকডোল পিঠিয়ে উদ্বোধন করা হয়েছিল সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের নতুন ছয় তলা ভবন। নতুন ভবনের নানা সুযোগ সুবিধার মধ্যে অন্যতম ছিল লিফট। সাধারণ সিড়ির পাশাপাশি রোগী, নার্স ও চিকিৎসকদেও দ্রুততম সময়ের মধ্যে চলাচলের জন্য লিফটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
কিন্তু দুই মাস পেরুনোর আগেই বিকল হয়ে গেছে লিফট। লিফট বিকল হওয়ায় ছয় তলার হাসপাতাল ভবনে উঠা-নামা করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা ও রোগীর স্বজনরা।
২০১৩ সালে জাইকার অর্থায়নে ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে সদর হাসপাতালের সাত তলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০১৬ সালের জুন নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় কথা থাকলেও শেষ হয় ২০১৮ সালের শেষের দিকে। তবে সাত তলার বদলে ছয় তলা, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার সহ অভিযোগ ছিল ভবন নির্মাণে।
নান টালবাহানার পর চলতি বছরের মে মাসের ২ তারিখে চালু করা হয় নতুন ভবনে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে ভবনের নতুন দুটি লিফট বিকল হয়ে আছে। যান্ত্রিক সমস্যার কারণে লিফট দুটি চলাচল করছে না। হঠাৎ করে হাসপাতাল ভবনে লিফট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। মুমূর্ষ রোগীদের সিড়ি দিয়ে তিন তলার মেডিসিন বিভাগে তুলতে হচ্ছে স্বজনদের।
মিজান নামের এক রোগীর অভিভাবক বলেন, তিন তলায় মেডিসিন বিভাগে এক রোগীকে দেখতে আসছিলাম, প্রায় ১০ মিনিট লিফটের সামনে দাড়িয়ে ছিলাম। পরে একজন বললো, লিফট নষ্ট হয়ে গেছে। লিফট নষ্ট হলে একটি নোটিশ লাগাতে পারতো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, লিফট না থাকায় রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সুনামগঞ্জের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান বলেন, দুই মাস যাবার আগে লিফট নষ্ট হয়ে গেলো বিষয়টি খটকা লাগছে। ভালো মানের সামগ্রী লাগালে তো এত দ্রুত নষ্ট হওয়ার কথা না।
সুনামগঞ্জে সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাস বলেন, ভবনের প্রকৌশলীদের কারণে এ অবস্থার সৃস্টি হয়েছে। কারণ ভবনটি নির্মাণ হয়েছে বিদেশী স্টাইলে, ফলে কোন জায়গা দিয়ে লিফটে পানি ঢুকে গেছে। গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে লিফটের ইঞ্জিনিয়ারদের খবর দেয়া হয়েছে, দ্রুত লিফটটি সচল করে দিতে বলা হয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আলী আহমদ বলেন, লিফটে সামান্য সমস্যা হয়েছে, এটা বড় কোন সমস্যা না।
Leave a reply