পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপায় মাদরাসা ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক শিক্ষক মোহাম্মাদ ফরাজী ঢাকায় পালানোর সময় উপজেলার হরিদেবপুর খেয়াঘাট থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ বিকাল সাড়ে চারটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আখতার মোর্শেদ। গ্রেফতারের পর তাকে থানায় নিয়া যাওয়া হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের পর এ বিষয়ে সকলকে ব্রিফ করা হবে বলেও তিনি জানান।
গলাচিপায় ১১ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযাগ উঠে উপজেলার উত্তর চরবিশ্বাস হাদিউল উম্মা মহিলা মাদরাসার শিক্ষক মোহম্মদ ফরাজীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ফরাজীকে আসামি করে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে শনিবার গলাচিপা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ ফরাজী পলাতক ছিলেন।
শিশুটির বাবা মামলার বিবরনে বলেন, উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের ‘উত্তর চরবিশ্বাস হাদিউল উম্মা মহিলা মাদরাসা’র শিক্ষক মোহম্মদ ফরাজী ঘটনার দিন (২৬ জুন ২০১৯) সকালে ফজরের নামাজের পর সাতজন শিশুকে নিয়া শ্রেণী কক্ষে পড়াতে বসে। পরে অভিযুক্ত শিক্ষক মোহম্মদ ফরাজী শিশুটিকে কথা শোনার জন্য তার (শিক্ষকের) ঘরের সামনের রুমে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক ফ্লোরে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পর শিশুটি কান্নাকাটি করে । পরে ওই দিন বেলা ১২টার দিকে বাড়ি ফিরে মায়ের কাছে সব খুলে বলে। এর পর এ ঘটনায় এক সপ্তাহ পর গতকাল শনিবার (৬জুলাই) গলাচিপা থানায় মোহাম্মদ ফরাজীকে একমাত্র আসামী করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আখতার মোর্শেদ জানান, ‘শিশু ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামী মোহাম্মদ ফরাজী হরিদেবপুরের এক আড়ৎ ব্যবসায়ীর সাহায্যে পালিয়ে ঢাকা যাওয়ার খবর পাই। হরিদেবপুর খেয়াঘাট অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদ ফরাজীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসি।
Leave a reply