বিশ্বকাপে সাফল্যের রহস্য ফাঁস করলেন সাকিব

|

বিশ্বকাপে স্বপ্নের সময় কাটিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ক্যারিয়ারসেরা ফর্মে ছিলেন তিনি। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং- তিন বিভাগেই সমানভাবে দ্যুতি ছড়িয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

সাকিব ব্যাট হাতে ৮ ম্যাচে ৬০৬ রান সংগ্রহ করেন। পাশাপাশি হাত ঘুরিয়ে আলো ছড়িয়ে ১১ উইকেট শিকার করেন তিনি, যা বিশ্বরেকর্ড। পথিমধ্যে আরও অসংখ্য রেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার।

ভেঙেছেন শচীন টেন্ডুলকারের রেকর্ড। ২০০৩ বিশ্বকাপে ৬৭৩ রান করেন তিনি। তবে গ্রুপপর্বে করেন ৫৮৬। এবার রাউন্ড রবিন লিগপর্বে ৬০৬ রান করে তা ভেঙে দিয়েছেন সাকিব। বাংলাদেশ সেমিফাইনালে উঠলে মাস্টার ব্লাস্টারের এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও অক্ষত থাকত কিনা, তা নিয়ে তর্ক শুরু হয়ে গেছে।

বলা বাহুল্য, এবারের বিশ্বকাপ দুহাত ভরে দিয়েছে সাকিবকে। ব্যাট-বলে রানের ফোয়ারা ছোটানোর সুবাদে আইসিসি ওয়ানডে অলরাউন্ডারদের র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে উঠে এসেছেন তিনি।

বিশ্বকাপে দুর্দান্ত সাফল্যের রহস্য কী? আইসিসি ওয়েবসাইটে দেয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেন, এর আগের বিশ্বকাপগুলোয় শুরুটা ভালো করলেও ছন্দ ধরে রাখতে পারিনি। এবার প্রথম ম্যাচ থেকেই আমার অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল ভালো কিছু হবে।

তিনি বলেন, বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটা খুব ভালো হয়েছিল আমার। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে আমি খুশি। যে মানসিকতা ও লক্ষ্য নিয়ে এসেছিলাম, তা পূরণ করতে পেরেছি।

শুধু ব্যাটিং বা বোলিং নয়, ফিল্ডিংয়েও অসাধারণ ছিলেন ৩২ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। গ্রুপপর্বে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে অবশ্য মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েন তিনি।

সাকিব বলেন, গ্রুপপর্বের শেষ দুটো ম্যাচের আগে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। আমার ফিটনেস ভালো বলে তা কাটিয়ে উঠতে সফল হয়েছি। তবে ওই সময় জিম করলে আরও সমস্যা বাড়ত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, ভারসাম্য বজায় রাখা। এককথায় শেষ দুটো ম্যাচ ছিল আমার কাছে কঠিন পরীক্ষা। কেন? এর কোনো ব্যাখ্যা অবশ্য আমার কাছে নেই।

বিশ্বকাপে সাফল্যের নেপথ্যে যে দুর্দান্ত ফিটনেস, তা গোপন করেননি নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার। সবশেষে বলেন, ফিটনেস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেটার উন্নতি করতেই হবে। আইপিএলে ভারতে খেলতে এসে তাতে মনোযোগী হয়েছিলাম। কয়েক কেজি ওজন কমিয়ে ফেলেছিলাম।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply