তুরস্কের পথে রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র

Russian S-400 anti-aircraft missile launching system is displayed at the exposition field in Kubinka Patriot Park outside Moscow on August 22, 2017 during the first day of the International Military-Technical Forum Army-2017. / AFP PHOTO / Alexander NEMENOV (Photo credit should read ALEXANDER NEMENOV/AFP/Getty Images)

যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত হুমকি ও নিষেধাজ্ঞার মুখেই রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা গ্রহণ করেছে তুরস্ক। শক্তিশালী এ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষার প্রথম চালান নিয়ে রোববার রাশিয়া থেকে বিশেষজ্ঞরা তুরস্কের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন।

সোমবার (০৮ জুলাই) বসনিয়ার রাজধানী সারায়েভো রওয়ানা হওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান এ কথা জানান। খবর আনাদলুর।

এরদোগান বলেন, রাশিয়ার পাঠানো কার্গো বিমানে সিস্টেমটি লোড করার কাজ চলছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তুরস্ক পুরোপুরি প্রস্তত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আনাদলুর খবরে বলা হয়, রাশিয়ার সামরিক বিমানঘাঁটি থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী দুইটি কার্গো বিমান আঙ্কারার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে। সোমবার অথবা মঙ্গলবারের মধ্যেই তা তুরস্কে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনার জন্য ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে চুক্তি সই করেন এরদোগান।

কিন্তু মার্কিন সরকার শুরু থেকেই এ চুক্তির তীব্র বিরোধিতা করে বলেছে, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হিসেবে রাশিয়ার কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কেনা তুরস্কের উচিত হবে না।

এ হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও আঙ্কারা মস্কোর কাছ থেকে এস-৪০০ সংগ্রহ করলে তুরস্কের ওপর তিন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

তবে এ বিষয়ে গত কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছে। রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা গ্রহণ করলে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি হবে কি না, তা স্পষ্ট করেনি ওয়াশিংটন।