Site icon Jamuna Television

নেত্রকোণায় জামিন পেয়েছে আলোচিত প্রশ্ন ফাঁস চক্রের ১২ নারী

স্টাফ রিপোর্টার, নেত্রকোণা:

নেত্রকোণায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মামলায় এজাহারভূক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাময়িক বরখাস্তকৃত শিক্ষকসহ ১২ নারীকে জামিনে মুক্তি দিয়েছেন আদালত। রোববার মামলায় আটককৃত কারাগারে থাকা ৩২ আসামীর জামিনের আবেদন জানালে নেত্রকোণা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আবু মোঃ আমিমুল এহসান শিক্ষিকাসহ ১২ নারীর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

গত ২৮ জুন কেন্দুয়ার পুলিশের এস.আই আবুল বাশার বাদী হয়ে ১২ নারী ও ৩৭ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ৬০ জন সহ ৯৭ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা ২০১৮ এর ২২/২/২৩(২)/৩১/৩৫ তৎ সহ পাবলিক পরীক্ষা অপরাধ ১৯৮০ এর ৯ (ক) ৯ (খ) ৯ (গ) ১৩ রুজু করা হয়। কেন্দুয়া থানার মামলা নং ২৮(৬) ২০১৯।

জামিনে মুক্তি পাওয়া ১২ নারীর মধ্যে রয়েছেন নওপাড়া সরাকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হাওয়া বেগম, পানগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তুহিন আক্তার, কেন্দুয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাহমিনা আক্তার, বলাইশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মরিয়ম আক্তার, নওপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লিপা মুনালিসা, তেলিগাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক স্মৃতি খানম, জঙ্গলটেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ডলি আক্তার, মদন উপজেলার বাগজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাবিলা রহমান চৌধুরী লিপা, আটপাড়া উপজেলা মঙ্গলশ্রী গ্রামের বজলুর রহমানের কন্যা মনি আক্তার, গৌরিপুর উপজেলার খোদাবক্সপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের কন্যা তাসলিমা, মনাটিয়া গ্রামের জহুরুল হকের স্ত্রী নাজনিন সুলতানা, কাউরাট গ্রামের নাদিরুজ্জামানের স্ত্রী লাকি আক্তার।

গত ২৮ জুন সহকারী শিক্ষক পদে পঞ্চম ধাপের নিয়োগ পরীক্ষায় নেত্রকোণা জেলা সদরের বিভিন্ন কেন্দ্রে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রশ্ন ফাঁস চক্রটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্ন সংগ্রহ করে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে উত্তরপত্র সরবরাহ করার কাজে নিয়োজিত ছিল।

খবর পেয়ে পুলিশ কেন্দুয়া পৌর শহরের টেঙ্গুরী ছয়আনি গ্রামের শিল্পপতি মনিরুজ্জামান ভূঞা শামিমের বাড়ির দুতালা থেকে ২টি ল্যাপটপ, ১টি ব্যাটারি, ২টি মডেম, ৭টি মোবাইল, ১টি চার্জার ও অন্যান্য গাইড বই সহ ১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা মূল্যের মালামাল জব্দ করে। এসময় পুলিশ ওই ১২ নারী সহ ৩৪ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এদের মধ্য থেকে পুরুষ শিক্ষক সহ ৮ জনকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে আদালত ২ দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কেন্দুয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম সোমবার রাতে জানান, রিমান্ডে আসা মামলার ৮ আসামীই পুলিশকে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। তারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথাও স্বীকার করেছে।

Exit mobile version