কোরীয় সংকট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-চীন পাল্টাপাল্টি

|

কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা কমাতে আবারও কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার ট্রাম্প বলেন, পিয়ংইয়ং যতোই সহিংস হোক তা সামলানোর ক্ষমতা রয়েছে ওয়াশিংটনের। এদিকে, কোরীয় উপদ্বীপে সৃষ্ট উত্তেজনায় চীনকে জড়ানোর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে, শি জিনপিং প্রশাসন।

উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে বিশ্ব রাজনীতিতে। এবার সেই উত্তেজনায় ঘি ঢাললো দেশটির সাবমেরিন পাঠানোর খবর। মার্কিন সেনা সদরের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, প্রতিবেশি দেশগুলোকে আরও বেশি চাপে রাখতে জাপান সাগরে নতুন করে বেশ কয়েকটি ডুবোজাহাজ পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এরমধ্যে ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনও রয়েছে।

 

এ অবস্থায়, উত্তেজনা দমাতে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে আবারও হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বলেছেন, উত্তর কোরিয়াকে প্রতিহত করতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কোনো বিকল্প নেই। পিয়ংইয়ংয়ের কর্মকাণ্ড ওই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা ছড়াচ্ছে। তবে তারা যত উত্তেজনাই সৃষ্টি করুক না কেনো, সেগুলো সামাল দেয়ার ক্ষমতা আছে আমাদের।

 

এদিকে, কোরীয় উপত্যকায় উত্তেজনা কমাতে ওয়াশিংটন-পিয়ংইয়ংকেই উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনা প্রতিনিধি লিউ জেই। বলেন, কিছুদিন পর পর উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়। আর সেটার জবাব দিতে সামরিক মহড়া চালায় যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া। অথচ সব পক্ষই বারবার চীনকে দোষারোপ করে।

এই পরিস্থিতিতে আলোচনায় বসতে উত্তর কোরিয়ার প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। গেল মাসে দুই দেশের মধ্যবর্তী অঞ্চল তোং ইল গাকে এই বৈঠকে বসার প্রস্তাব দেয় সিউল।

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply