নুসরাত হত্যা: মামুন ও ইউসুফের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

|

ফেনীর আলোচিত মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১২তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে। আজ রোববার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি সাবেক সদস্য শেখ আবদুল হালিম মামুন ও সোনাগাজী মাদ্রাসার দপ্তরি মো. ইউসুফ আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৫ জন সাক্ষির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আগামীকাল (১৩ তম দিন) সোমবার আরও ৩ জন সাক্ষির সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। তারা হচ্ছে সোনাগাজী মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হোসাইন, সোনাগাজী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইয়াছিন ও ড্রাইভার নুরুল করিম।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এম. শাহজাহান সাজু বলেন, এ পর্যন্ত ১৫ জনের সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়েছে। আজ রবিবার শেখ আবদুল হালিম মামুন ও মাদ্রাসার দপ্তারি মো. ইউসুফ আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

এর আগে গত ২৭ জুন মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। পরে রাফির বান্ধবী নিশাত সুলতানা ও সহপাঠি নাসরিন সুলতানা, মাদ্রাসার পিয়ন নুরুল আমিন, নৈশ প্রহরী মো. মোস্তফা, কেরোসিন বিক্রেতা লোকমান হোসেন লিটন, বোরকা দোকানদার জসিম উদ্দিন ও দোকানের কর্মচারী হেলাল উদ্দিন ফরহাদ, নুসরাতের ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান, জহিরুল ইসলাম, হল পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন, নুসরাতের মা শিরিন আখতার ও শিক্ষক আবুল খায়ের, শেখ আবদুল হালিম মামুন ও মো. ইউসুফ সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়।

চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ১০ এপ্রিল মারা যান নুসরাত জাহান রাফি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply