কামাল হোসাইন,নেত্রকোণা
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ের ঢল ও গত ছয়দিনের টানা বৃষ্টিতে নেত্রকোণায় বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হচ্ছে। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় জেলার প্রধান নদী সোমেশ্বরী, কংস, ধনু নদীতে পানি বাড়ছে। এই নদীগুলোর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও বারহাট্টা উপজেলায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এ দিকে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতভর বৃষ্টিতে কলমাকন্দার নতুন আরো ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ নিয়ে ২৬২টি গ্রামের প্রায় ৭৫ হাজারের মতো মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। ওই উপজেলায় মোট গ্রামের সংখ্যা ৩৪৩টি। এ ছাড়া কলমাকান্দার সঙ্গে জেলা শহরের প্রধান সড়কটি কলমাকান্দা-ঠাকুরাকোণা গত দুইদিন ধরে ডুবে থাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। কলমাকান্দা উপজেলার প্রায় ৮০ শতাংশ গ্রামীণ সড়ক পানির নিচে রয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করায় ১৫৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্তত ১৭৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন তাজুল ইসলাম জানান, বন্যার্তদের চিকিৎসাসেবা দিতে এলাকায় মেডিকেল টিম ও স্বাস্থ্য সহকারীরা কাজ করছেন। স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় ওষুধও দেয়া হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য সহকারিদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন,‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যাকবলিত মানুষদের এ পযন্ত ৫০ মেট্রিকটন চাল ও ১ হাজার ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। নতুন আরো ত্রাণ পাঠানো হবে। তাদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তিনটি উপজেলাতেই সহযোগিতার জন্য সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
Leave a reply