কারিগরি ত্রুটির কারণে শেষ মূহুর্তে স্থগিত হলো ভারতের চন্দ্র অভিযান। নির্ধারিত সময়ের মাত্র ঘন্টাখানেক আগে অন্ধ্রপ্রদেশের সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ স্টেশনের লঞ্চপ্যাড থেকে স্থগিত করা হয় চন্ত্রযান-টু এর উৎক্ষেপণ।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, ইসরো জানিয়েছে রকেটটির জ্বালানী ট্যাংকে ছিদ্র ধরা পড়ায় এর উৎক্ষেপণ বাতিল করা হয়। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আবারও উৎপক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত করা হবে রকেট চন্দ্রযান-টু।
স্থানীয় সময় রাত ২টা ৫১ মিনিটে মহাকাশ যানটি উৎক্ষেপণের কথা থাকলেও এর ৫৬ মিনিট আগে ধরা পড়ে জটিলতা। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, ইসরোর কর্মকর্তারা জানান, রকেটের জ্বালানী বহনের নির্দিষ্ট স্থানে ছিদ্রের সন্ধান মেলে। বড় ধরণের বিপদের আগেই চন্দ্রযান টু এর উৎক্ষেপণ বাতিল করা হয়।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের মুখপাত্র বি আর গুরুপ্রসাদ বলেন, সবকিছু ঠিকই ছিলো। কিন্তু শেষমুহুর্তের পর্যবেক্ষণে আমরা রকেকটির জ্বালানী ট্যাংকে ছিদ্র পাই। সেখান থেকে ফুয়েল চুইয়ে পড়ছিলো। তাই ওই মূহুর্তেই উৎক্ষেপণ বাতিল করা হয়। আমরা পুরো প্রক্রিয়াটি আবারও পর্যবেক্ষন করবো। এরপরই নতুন করে উৎক্ষেপণের সময় সীমা জানানো হবে। তবে সেটা খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই।
প্রায় ৭০০ টন ওজনের রকেটির নাম বাহুবলি। ১৫ তলা সমান উচ্চতার এ রকেটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাহুবলী’। অরবিটার, ল্যান্ডের ও একটি রোভার নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল রকেটটির। যার সবকিছুরই ডিজাইন করা হয়েছে ভারতে। পৃথিবী থেকে দৃষ্টি সীমার বাইরে থাকা, চাঁদের দক্ষিণ অংশে অবতরণের পরিকল্পনা চন্দ্রযান টু এর।
মহাকাশ গবেষক এন রত্নশ্রী বলেন, এত ভারী পে লোড নিয়ে কোনো মহাকাশ যানের চাঁদে অবতরণের রেকর্ড নেই। আর চাঁদের যে অংশটুকু আমরা দেখি, সেখানেই নভোযান পাঠানো হয়েছে। কিন্তু বাহুবলির মূল লক্ষ্য হলো অদেখা অংশ অর্থ্যাত দক্ষিণ অংশে অবতরণ করে সেখান থেকে তথ্য পাঠানো। এটা নি:সন্দেহে বিরাট অর্জন।
প্রায় ১৪ কোটি ডলার খরচ হওয়া এই প্রকল্প সফল হলে দ্বিতীয়বারের মতো চন্দ্রজয় হবে ভারতের। এরআগে ২০০৮ সালে সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করে চন্দ্রযান ওয়ান।
Leave a reply