পাস্তুরিত দুধ নিয়ে গবেষণা করা অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের পাশে দাঁড়ালেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, অধ্যাপক ফারুক একজন স্ট্যান্ডার্ড মানের গবেষক। তিনি জনস্বার্থেই গবেষণাটি করেছেন। একজন গবেষক হিসেবে তিনি তার মৌলিক দায়িত্বই পালন করেছেন। এটি নিয়ে বিতর্ক তোলার আগে এই গবেষণা মানের আরেকটি গবেষণা করা উচিত ছিল।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ফারুকের নেতৃত্বে ফার্মেসি বিভাগের কয়েকজন শিক্ষক একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাতটি প্যাকেটজাত (পাস্তুরিত) দুধসহ ৭২টি খাদ্যপণ্য নিয়ে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এই গবেষণায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাতটি প্যাকেটজাত (পাস্তুরিত) দুধের নমুনা পরীক্ষা করে সেগুলোতে মানুষের চিকিৎসায় ব্যবহৃত শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পাওয়ার কথা বলা হয়। এরপর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য ওই রিপোর্টকে মিথ্যা বলে দাবি করেন।
ভিসি আরো বলেন, তার পক্ষে সমগ্র জাতি থাকবে। আর তিনি তো ঢাবির অধ্যাপক হিসেবেই গবেষণার করে ফল প্রকাশ করেছেন। এজন্য তাকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।
ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এভাবে যেনতেনভাবে গবেষণা নিয়ে প্রশ্ন তুললে সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন বাধাগ্রস্ত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজই হলো গবেষণা করা। এখানে প্রচুর গবেষণা হবে। বিশেষ করে এখানে জনস্বার্থে গবেষণা হওয়া বেশি জরুরি। জনস্বার্থে এ ধরনের গবেষণা করা বিশ্ববিদ্যালয়েরও মৌলিক দায়িত্ব।
তিনি বলেন, এ গবেষণাটি নিয়ে যারা বিতর্ক করছেন তাদের উচিত ছিল পাল্টা আরেকটি গবেষণা করে এরপর কথা বলা। তখন গবেষণাটি সম্পর্কে ধারণা করা যেতো। কিন্তু তা না করে গবেষণার ত্রুটি খোঁজা কোনোভাবেই কাম্য না এবং এটিকে বিতর্কিত করলে আমাদের কোনোক্রমে আপস করা ঠিক হবে না।
Leave a reply