ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তির যতটা লঙ্ঘন করেছে ইরান, তা এখনও গুরুতর কিছু নয় এবং চাইলেই তা বদলানো সম্ভব।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মোগারিনি এমন মন্তব্য করেছেন। ২৮ দেশের জোট ইইউ’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠক শেষে সোমবার তিনি এ কথা বলেছেন।
পরমাণু চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে আবারও ওয়াশিংটনকে হুশিয়ারি দিয়েছে তেহরান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি ফিরিয়ে দিয়ে ইরান বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলা করছে।’
এদিকে পরমাণু উত্তেজনা কমাতে উদ্যোগের অংশ হিসেবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ট্রাম্প এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাত্রেঁদ্ধা। খবর বিবিসি ও এএফপির।
পারমাণবিক চুল্লির জ্বালানি তৈরি করতে চলতি বছরের মে মাস থেকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা বাড়িয়েছে ইরান। এ বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশটি পরমাণু বোমা তৈরির পথে হাঁটছে বলে আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের।
ইইউয়ের কর্মকর্তা মোগারিনি জানান, চুক্তি স্বাক্ষরকারী ইউরোপের দেশগুলোর কেউই ইরানের লঙ্ঘনকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে না, যে কারণে এর পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে না।
ব্রাসেলসের বৈঠকে ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা কমানোর পাশাপাশি পরমাণু চুক্তিটি বহাল রাখার বিষয়ই গুরুত্ব পায়। বৈঠকের আগে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি এক যৌথ বিবৃতিতে ইরান পরমাণু চুক্তির প্রতি তাদের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসনে উদ্যোগী হয়েছে ফ্রান্স। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ট্রাম্প, পুতিন এবং হাসান রুহানির সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন ম্যাত্রেঁদ্ধা।
সার্বিয়া সফররত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট সোমবার রাতে বেলগ্রেডে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। ম্যাত্রেঁদ্ধা বলেন, ট্রাম্প, পুতিন ও রুহানির সঙ্গে তার আসন্ন সংলাপ মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমাতে সহায়তা করবে বলে তিনি আশা করছেন।
Leave a reply