প্রয়োজনে পার্শবর্তী ইউরোপিয়ান দেশ সাইপ্রাসে সামরিক অভিযান চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। গতকাল টার্কিশ সাইপ্রিয়টে তুর্কি সেনা বাহিনীর শান্তি অভিযানের ৪৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
সাম্প্রতিক সময়ে সাইপ্রাসের সাথে সমুদ্রে তেল সন্ধান নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে তুরস্কের। টার্কিশ সাইপ্রিয়টের কাছাকাছি সমুদ্রে তেল অনুসন্ধান চালাচ্ছে তুর্কি কোম্পানি। এতে আপত্তি রয়েছে সাইপ্রাসের।
এছাড়া মাঝে মাঝেই তুর্কি নৌবাহিনী সাইপ্রাসের নৌসীমা লঙ্ঘন করে বলে অভিযোগ রয়েছে দ্বীপদেশটির।
গ্রিসের সহায়তায় সংক্ষিপ্ত অভ্যুত্থানের পর তুরস্কের অভিযানে ১৯৭৪ সালে বিভক্ত হয়ে যায় সাইপ্রাস। একাংশ টার্কিশ সাইপ্রিয়ট নামে পরিচিত। সেখানে তুর্কি বংশোদ্ভুত মুসলমান জনসংখ্যা বেশি। দ্বীপটিতে তুরস্কের পছন্দের সরকার শাসন করে আসছে ৭৪ সালের পর থেকে। তুরস্ক ছাড়া অন্য কেউ এটিকে রাষ্ট্র হিসেবে মর্যাদা দেয়না। পরবর্তীতের সাইপ্রাসের দুই অংশের মধ্যে বেশ কিছু শান্তিচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এক পর্যায়ে দেশটির উপকূলীয় সম্পদ আবিষ্কারের পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যায়।
সাইপ্রাসের সঙ্গে আঙ্কারার কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তাদের দাবি, ইইজেড নামে পরিচিত সাইপ্রাসের নৌ অঞ্চলের একটি নির্দিষ্ট এলাকায় তুরস্ক কিংবা টার্কিশ সাইপ্রিয়টদের অধিকার রয়েছে।
সাইপ্রাসের সাথে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ৭৪ সালের ঘটনা স্মরণ করে এরদোগান বলেন, ‘প্রয়োজনে ৪৫ বছর আগের মতো আবারও সাইপ্রাসে অভিযান চালাতে পিছপা হবে না বীর তুর্কি সেনারা।’
Leave a reply