প্রায় সাত মাস আগে স্ত্রী শামসুন্নাহার একমাত্র মেয়েকে নিয়ে মান্নান নামে এক যুবকের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এরপর থেকেই বাবা সিরাজ মিয়া মেয়েকে খুঁজতে স্কুলে যেতেন। খুঁজতে গিয়েই বিপদে পড়েন বাক প্রতিবন্ধী সিরাজ মিয়া। ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে মারা যান তিনি।
গত শনিবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজিমিজি আইডিয়াল স্কুলে এ ঘটনা ঘটে।
সাত ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় সিরাজ মিয়া রাজমিস্ত্রির কাজ করতো। সিদ্ধিরগঞ্জের কলাবাগ সাইলোরোড এলাকার মোহর চানের ভাড়া বাসায় থাকতেন।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, সিরাজ মিয়ার সাথে স্ত্রী শামসুন্নাহারের প্রায় সাত মাস আগে ডির্বোস হয়ে যায়। একমাত্র মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে যায় স্ত্রী। এরপর থেকেই মেয়েকে খুঁজে বেড়ান সিরাজ। শনিবার সকালে সিরাজ মিয়া মেয়েকে খুঁজতে ওই স্কুলে যায়। এ সময় তার মেয়ের মতো দেখতে শিশু সাদিয়াকে কোলে নিয়ে আদর করার সময় স্থানীয় লোকজন ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করে সিরাজকে।
এদিকে, সাদিয়া নামের যে মেয়েটিকে নিজের মেয়ে দাবি করে কোলে নিয়ে আসার পথে সিরাজ মিয়া মারধরের শিকরা হয়ে নিহত হয়েছে সেটি আসলেই তার মেয়ে কিনা তা ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ইনপেক্টর সেলিম মিয়া। তিনি বলেন, সাদিয়াকে তার বাবা কোথাও থেকে পালক এনে লালন পালন করছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।
Leave a reply