জনসন ‘বর্ণবাদী, মিথ্যুক’, পদত্যাগ করছেন মন্ত্রীরা

|

নতুন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে উত্তাল ব্রিটেনের রাজনীতি। নিজ দল ও জোটের সদস্যদের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন বরিস জনসন। নিজের অতি রক্ষণশীল রাজনীতি দল ও সরকারের অনেকেই পছন্দ করছেন না। ফলে একাধিক মন্ত্রী পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। একই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন আরো কয়েকজন।

এদিকে, গ্রিন পার্টির এমপি ক্যারোলিন লুকাস জনসনকে বর্ণবাদী ও মিথ্যুক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, টরি পার্টির লক্ষাধিক সদস্য আমাদের ওপর বরিস জনসনের মতো অদক্ষ, ধর্মান্ধ, বর্ণবাদী ও মিথ্যুক একজনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাপিয়ে দিয়েছে। এটা কোনো গণতন্ত্র হতে পারে না।

মঙ্গলবার দলীয় ভোটাভুটিতে ৯২ হাজার ১৫৩টি ভোট পেয়ে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচিত হন জনসন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জেরেমি হান্ট।

প্রয়োজনে চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট কার্যকরের নীতি জনসনের। এ কারণেই তাকে নিয়ে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। জনসন ক্ষমতা নেয়ার আগেই তাই মন্ত্রীসভা ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন বেশ কয়েকজন।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নাম ঘোষণার পর পদত্যাগ করেছেন অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড। তিনি বলেন,
জনসনের চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট কার্যকরের সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত দেশের জন্য কল্যাণকর নয়। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আমার পদত্যাগের মাধ্যমে সে বার্তাই তাকে আরও স্পষ্টভাবে দিতে চাই আমি। বুধবার প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব ছাড়ার আগে তার কাছেই পদত্যাগপত্র জমা দেবো।

এছাড়া আরো পদত্যাগ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী এনি মিল্টন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলেন ডানকান। একই সিদ্ধান্ত নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিচার বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী রোরি স্ট্রুয়াট।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক এইলজা হেন্ডারসন বলেন, বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হবেন, শুধুমাত্র এই আশঙ্কা থেকে গণভোটে ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দেয়া মানুষের ২০ শতাংশই এখন ব্রেক্সিট চান না। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর এমন আমূল মত পরিবর্তন নজিরবিহীন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply