হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ওয়াশিংটন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সোমবার (২২ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির হোয়াইট হাউজের সামনে এক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুল আমিন, সহসভাপতি মোহাম্মদ আযম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক এম নবী বাকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, যুবলীগ সভাপতি রবিউল ইসলাম রাজু, সহসভাপতি আবু বকর সিদ্দিক সাজ, সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, আলমগীর ও সেতু। এছাড়াও সভায় গ্রেটার ওয়াশিংটন বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি করিম সালাউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আবু সরকার উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহার ভয়ংকর মিথ্যা প্রদান করার তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জানানো হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্পের কাছে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক ও বানোয়াট তথ্য দেয়া প্রিয়া সাহা দেশদ্রোহী।
তার বক্তব্য শুধু বাংলাদেশকে নয়, বাঙ্গালী জাতি ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে কলঙ্কিত করেছে। হোয়াইট হাউসের সামনে অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, প্রিয়া সাহা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন। তিনি তার যে দুই মেয়ে আমেরিকা প্রবাসী, তাদের নাগরিকত্ব পেতে ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করেছেন। ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি অনেক কঠিন। তিনি মিথ্যাচার করে তার দুই মেয়ের নাগরিকত্ব নেয়ার পথ পরিস্কার করছেন।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আমরা সব ধর্মের লোকজন মিলেমিশে বসবাস করছি। ৩ কোটি ৭০ লাখ সংখ্যালঘু খুন ও গুমের যে তথ্য দিয়ে প্রিয়া সাহা ট্রাম্পের কাছে নালিশ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আরেক বক্তা বলেন, রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য প্রিয়া সাহা এ কাজ করেনি। প্রিয়া সাহাদের অনেক টাকা আর ক্ষমতা আছে। টাকা দিয়ে বিশেষ ক্যাটাগরিতে গ্রীনকার্ড পাসপোর্ট পাওয়া যায়। এটা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রিয়া সাহার এসাইনমেন্ট ও ষড়যন্ত্র ছিল। বাংলাদেশের মাটিতে প্রিয়া সাহারা অনেক প্রভাবশালী।
এসময় বক্তারা সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিহত করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নির্মাণে সোচ্চার হওয়ার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। সমাবেশ শেষে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি স্টেফানি গ্রিসামের নিকট যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
Leave a reply