বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে ধর্ষণের সময় হাতনাতে আটক করা হয়েছে ছাত্রলীগের এক নেতাকে। বুধবার রাতে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মধ্য ঝনঝনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃত ছাত্রলীগ নেতা তারেক হাসান উপজেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক।
স্থানীয়রা জানায়, হতদরিদ্র পরিবারের ওই নারী বাবার মৃত্যুর পর মায়ের সঙ্গে মামার বাড়িতে বসবাস করতেন। পরবর্তীতে চিতলমারী উপজেলায় তার বিয়ে হলে সেখানে চলে যান। এরই মধ্যে স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় পাঁচ বছরের একমাত্র মেয়েকে নিয়ে আবার মামার বাড়িতে চলে আসেন।
ঘটনার দিন রাতে ওই নারীর মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে ছাত্রলীগ নেতা তারেক ওই নারীর ঘরে ঢুকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় ওই নারীর মামাতো ভাই সুজনসহ স্থানীয়রা তারেককে হাতেনাতে আটক করেন। পরে কৌশলে পালিয়ে যান তারেক।
বৃহস্পতিবার সকালে ওই নারী বিয়ের দাবিতে তারেক হাসানের বাড়িতে অবস্থান নেন। ঘটনা জানাজানি হলে মাটিভাঙ্গা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ খান মো. মিজানুর রহমান ওই নারীকে তারেকের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে মেলামেশা করতো তারেক। বুধবার রাতে ঘরে ঢুকে আমাকে ধর্ষণের সময় তারেককে হাতেনাতে আটক করেন স্থানীয়রা। ওই সময় তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়া হয়। কিন্তু রাতে কৌশলে পালিয়ে যায় তারেক। পরে বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে অবস্থান নিলে আমাকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
এবিষয়ে নাজিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুনিরুল ইসলাম বলেন, প্রেমঘটিত কারণে এমনটি হতে পারে। ওই নারী মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a reply