লিজেল হেইস। বয়স ১০০ বছর। দক্ষিণ-পশ্চিম জার্মানির কির্চহেইমবোলাডেনের বাসিন্দা। ছিলেন স্কুল শিক্ষিকা। প্রায় ৪০ বছর আগেই অবসরে চলে যান। এরপর থেকে অনেকটা নিভৃতে দিন যাপন করেন লিজেল। হঠাৎই রাজনীতির মাঠে নামেন এই শত বছর বয়সী। যদিও রাজনীতি করার ইচ্ছা জাগে বয়স ১০০ হবার আরো কয়েক বছর পূর্বেই।
যে বয়সে অনেকেই ইহকালের মায়া ত্যাগ করে পরপারে পাড়ি জমান, কেউ শক্তি হারিয়ে ক্ষীণবল হয়ে লাঠিহাতে চলাফেরা করেন, সেই বয়সে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করার ইচ্ছা পোষণ করা যেন একটু বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যায়। কিন্তু এই শত বছর বয়সী নারী সবকিছুকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এগিয়ে চলছেন।
সম্প্রতি লিজেল স্থানীয় নগর কাউন্সিল নির্বাচনে জয়ী হন। এরপরই তাকে নিয়ে জোর আলোচনা শুলু হয়।
দেশে চরমপন্থা ও বর্ণবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে এর বিরুদ্ধে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাঠে নামেন লিজেল।
তিনি বলেন, ‘প্রথম যখন রাজনীতি শুরু করি, কিছু লোক আমার কথা মন দিয়ে শুনত না। কেউ কেউ আমার মাইকের প্লাগও খুলে দিত। এখন সারা পৃথিবী থেকে মানুষ আমার সঙ্গে কথা বলতে আসে। এখন আর কে হাসে।’
লিজেল স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে নিজের বাড়ির বাইরে একটি সাঁতার শেখার পুল চালু করেছেন তিনি। এখনও প্রতিদিন খুব ভোরে উঠে ৮ হাজার অধিবাসী নিয়ে কির্চহেইমবোলাডেনের পুরনো শহরে কয়েক কিলোমিটার হাঁটাহাঁটি করেন লিজেল। এরপর স্থানীয় তরুণ-তরুণীদের নিয়ে পুলে সাঁতার কাটা। মূলত ওই পুলে আসা তরুণ-তরুণীরাই তার রাজনীতিতে নামার প্রেরণা বলে জানান লিজেল।
Leave a reply