টাইগার বোলারদের তুলোধুনো করে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন কুশল পেরেরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করা লংকান এ হার্ডহিটার ব্যাটসম্যানকে অবশেষে সাজঘরে ফেরান সৌম্য সরকার। তার আগেই ৯৯ বলে ১৭টি চার ও এক ছক্কায় ১১১ রান করেন পেরেরা।
শুক্রবার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিক শ্রীলংকা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। ৩২ মাস পর দলে ফিরেই শুভ সূচনা এনে দেন শফিউল ইসলাম। মাশরাফি-সাকিববিহীন ম্যাচে বাংলাদেশকে শুরুতেই সাফল্য এনে দেন ২৯ বছর বয়সী এ পেসার।
শফিউলের বলে ফাস্ট স্লিপে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন লংকান ওপেনার অভিস্কা ফার্নান্দো। ৭ রানে ফার্নান্দোর বিদায়ে দলীয় ১০ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে শ্রীলংকার।
ভালো শুরুর রেশ ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে দিমুথ করুনারত্নের সঙ্গে জুটি গড়ে তোলেন কুশাল পেরেরা। এই জুটিতে তারা ৯৭ রান যোগ করেন।
ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার অফ স্পিনে ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন লংকান অধিনায়ক করুনারত্নে। তার আগে ৩৭ বলে ৩৬ রান করেন করুনারত্নে। তার বিদায়ে ১৫ ওভারে ১০৭ রানে দুই উইকেট হারায় শ্রীলংকা।
এরপর কুশল মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে ফের ১০০ রানের জুটি গড়েন পেরেরা। এই জুটিতেই ৮২ বলে শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। নিয়মিত বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যাওয়া এই হার্ডহিটার ব্যাটসম্যানকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন সৌম্য সরকার।
অনবদ্য ব্যাটিং করে ফিফটির পথেই ছিলেন কুশল মেন্ডিস। তাকে মুশফিকের ক্যাচে পরিণত করেন রুবেল হোসেন। ৪৯ বলে ৪৩ রান করে ফেরেন মেন্ডিস। তার বিদায়ে ৩৪ ওভারে ২১২ রানে ৪ উইকেট হারায় শ্রীলংকা।
Leave a reply