সন্ত্রাসের অভিযোগে দুই শিয়া নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে বাহরাইন। তাদের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আহ্বান সত্ত্বেও শনিবার ফায়ারিং স্কোয়াডে তাদের হত্যা করা হয়।-খবর এএফপি
নিহতরা হলেন, আলী আল আরব(২৫) ও আহমাদ আল মালালি(২৪)।
যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ছোট্ট উপসাগরীয় দেশটি চির বৈরী ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে অবস্থিত। ২০১১ সাল থেকেই বাহরাইনে রাজনৈতিক উত্তেজনা চলছে।
রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভের পর ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে কর্তৃপক্ষ।
দণ্ডিত দুই যুবক ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে আলাদাভাবে গ্রেফতার হয়েছিলেন। গত বছরের জানুয়ারিতে আরও ৫৮ জনের সঙ্গে তাদের গণবিচার হয়েছে। আটকদের ওপর ব্যাপক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গঠনের দায়ে এই দুই যুবককে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তারা সশস্ত্র হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগে দাবি করা হয়।
কৌঁসুলিরা বলেন, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে কারাগারে হামলা চালিয়ে একজন প্রহরীকে হত্যা করে ১০ বন্দিকে তারা মুক্ত করেন।
এর আগে পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপরও প্রাণঘাতী হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, শেষবারের মতো দেখার জন্য শুক্রবার তাদের পরিবারকে ডাকা হয়েছিল।
এইচআরডব্লিউর মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক লামা ফাকিহ বলেন, দুই যুবকের মৃত্যুদণ্ডে সই করে বাদশাহ হামাদ বড় ধরনের অবিচার করেছেন। কারাগারে তাদের নির্যাতন করা হয়েছে এবং বিচারে সঠিক প্রক্রিয়া মেনে চলা হয়নি।
দুইশ বছর ধরে বাহরাইনের শাসন করছে সুন্নি আল খলিফারা। যদিও দাবি করা হয়, দেশটির অধিকাংশই শিয়া মুসলমান।
২০১১ সাল থেকে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে কারাগারে ভরে রাখা হয়েছে। বিক্ষোভে ইরান মদদ দিচ্ছে বলে বাহরাইন সরকার অভিযোগ করছে।
Leave a reply